Monday, December 29, 2014

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার কাজ (বিভাগঃ ঘরে বসে আয়)

ফ্রিল্যান্সিং – শব্দটি শুনলে অনেকেরই মাথায় প্রথম যে ব্যাপারটা আসে, হয়তো এটা প্রোগ্রামার বা ডিজাইনারদের জন্য কিছু। হয়তো কিছুটা সত্যি, কারণ এখন পর্যন্ত আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষরাই ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রাধান্য নিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, সবচেয়ে বেশি কাজ করছে টেকি ফ্রিল্যান্সাররা। তবে আসলেই কি তাই? মোটেও না আইটি ছাড়া আর আরেকটি কাজের জগত যার চাহিদা অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক। সেটি হল ব্যবসায় এবং ব্যবস্থাপনা।

দুই পর্বের ধারাবাহিক লেখায় প্রথম পর্বে “ইল্যান্স” মার্কেটপ্লেসে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার ফ্রিল্যান্স কাজ নিয়ে আলোচনা করা হল। আগামী পর্বে হবে “ওডেস্ক”মার্কেটপ্লেস নিয়ে।
এ পর্বের লেখাটিতে ইল্যান্সে ব্যবসা ব্যবস্থাপনার কাজের চাহিদা, কিভাবে পাওয়া যায় এবং অন্যান্য টিপস নিয়ে লিখেছেন “ইল্যান্স বাংলাদেশের” কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান
ইল্যান্সে ব্যবসায় সম্পর্কিত কি কি পাওয়া যায়?
এই ক্যাটাগরিতে প্রধানত ২টি বিভাগ রয়েছে – মার্কেটিং এবং কনসাল্টিংকনসাল্টিং বিষয়ক কাজগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে অ্যাকাউন্টিং, ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিং, ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ইত্যাদি। আর মার্কেটিং বিষয়ক কাজগুলোর মাঝে আছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, মার্কেটিং এবং বিজনেস প্ল্যান তৈরি ইত্যাদি। এর মাঝে আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন। যেমন, আপনার যদি বিবিএ অথবা অ্যাকাউন্টিং ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে, আপনি কুইক-বুক বা অন্য ভালো একটি অ্যাকাউন্টিং প্রোগ্রাম শিখে নিয়ে সহজেই শুরু করে দিতে পারেন অ্যাকাউন্টিং সার্ভিস দেয়া। আপনার যদি ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি নিয়ে অভিজ্ঞতা থাকে (যেটা কিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিভাগে দ্বিতীয়-তৃতীয় বর্ষেই শেখানো হয়) তাহলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন বাইরের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য বিজনেস প্ল্যান তৈরি করা।
উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, ধরুন কানাডার একটি কোম্পানির লোন দরকার, এবং তার জন্য ব্যাংকে বিজনেস প্ল্যান জমা দিতে হবে। এই কাজ কানাডার কেউ করে দিতে হাজার হাজার ডলার নিবে। যেহেতু কোম্পানি নতুন, তাই অনেকেই কাজটি স্বল্পমূল্যে বাইরের কোন দেশ থেকে করিয়ে নিতে চায়। তখনি কাজগুলো আসে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেযদি দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন এমনি একটি কাজ। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এভাবেই কিন্তু অনেকে ব্যবসায় সম্পর্কিত কাজ করে থাকে। শুধু যে বিজনেস প্ল্যান, তা কিন্তু না। এভাবে পেতে পারেন ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ, ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ ইত্যাদি।
এ ধরনের কাজে আয় কেমন হতে পারে?
আমাদের মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা-প্রতি আয় হয় যেই বিভাগে, তা কিন্তু ব্যবসায় ৮ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের ঘণ্টা-প্রতি গড় আয় যেখানে ৮ ডলার, যেখানে ব্যবসায় ৭ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফ্রিল্যান্সাররা ঘণ্টা-প্রতি আয় করছেন প্রায় ১৯ ডলার। অপরদিকে মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের ঘণ্টা-প্রতি গড় আয় হল প্রায় ৯ ডলার। শুধু সেলস এবং মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন, এমন এক ফ্রিল্যান্সার শুধু ২০১২ সালেই আয় করেছেন ১৮,২০০ ডলার। অপরদিকে ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন এমন এক ফ্রিল্যান্সার ২০১২ সালে আয় করেছেন ৬,০০০ ডলার। শুধু সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগেই বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা সবাই মিলে ২০১২ সালে আয় করেছে প্রায় ১,৮৫,০০০ ডলার
কাদের জন্য ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা এবং বিপণন জাতীয় কাজ?
ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা আছে, অথবা বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করছেন, এমন ফ্রিল্যান্সাররা হতে পারেন ব্যবসায় বিভাগের কাজগুলোর জন্য আদর্শ। এর মূল কারণ হল, আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যা যা শেখানো হয়, মূলত সেগুলোই কিন্তু অনলাইন মার্কেটপ্লেসে করা যায়। যেমন, মার্কেট রিসার্চ করে মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করা, বিজনেস প্ল্যান তৈরি করা, অ্যাকাউন্টিং এর বিভিন্ন হিসেব মিলিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা, কারও বিজনেস মিটিংয়ের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করে দেয়া, ইত্যাদি বিষয়ে কিন্তু আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষার্থীরাযথেষ্ট দক্ষ। এবং ইংরেজিতে যোগাযোগের দক্ষতাও কিন্তু তাদের কম নয়। এই দক্ষতা যদি তারা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিয়ে আসতে পারে, তাহলে উপার্জনের দারুণ একটি পথ তৈরি তো হবেই, তার সাথে হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক কোম্পানি অথবা ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, শুধু উপার্জনটাই নয়, এর ফল অনেক সুদূরপ্রসারী হতে পারে। যেমন, আমাদের দেশের বাণিজ্য বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় পড়াশোনা শেষে ভালো একটি চাকরি খুঁজে পায়না, কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। অনেকেই দেখে যে ইন্টার্ভিউ বোর্ডে গেলেই অভিজ্ঞতা চায়সেক্ষেত্রে তারা যদি পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত ১০-১৫ ঘণ্টা যদি ফ্রিল্যান্স কাজ করে, তাহলে স্নাতক শেষ করতে করতে তাদের হয়ে যাবে ১-২ বছরের আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার অভিজ্ঞতা। এবং সেটা কিন্তু যে কারও ক্যারিয়ারে হতে পারে দারুণ একটি সংযোজন আর যারা চাকরি না করে নিজেই কিছু করতে চায়, তাদের এই ১-২ বছরে যথেষ্ট মূলধন জমে যেতে পারে যা দিয়ে তারা পরবর্তীতে নিজের কিছু দাঁড় করাতে পারবে, হতে পারে সেটা তার সব ক্লায়েন্ট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান
কিভাবে আপনিও ব্যবসায় সম্পর্কিত কাজগুলো করতে পারেন?
প্রথমেই বলবো আপনি কোন কাজটি ভালো পারেন, কি ধরনের সার্ভিস আপনি অনলাইনে দিবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নেয়া। আপনার দক্ষতা যদি হয় যোগাযোগ ও বিপণনে, তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন। যদি আপনার মার্কেট রিসার্চ করে বিজনেস প্ল্যান বা মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সেই কাজগুলোই আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে তেমন কোন কোর্স করতে হবেনা, তবে চাইলে “বিজনেস প্ল্যান প্রো” নামের সফটওয়্যারটি শিখে নিতে পারেন, তাহলে বিজনেস প্ল্যান তৈরি আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। যদি অ্যাকাউন্টিং সম্পর্কিত কাজ পেতে চান, তাহলে “কুইক-বুক” সফটওয়্যারটি শেখা আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে, কেননা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে “কুইক-বুক” জানা অ্যাকাউন্টেন্টদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
তবে হ্যাঁ, সবকিছুর উপরে যেটা দরকার সেটা হল ভালো ইংরেজি জ্ঞান। কারণ আপনি যখন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন, আপনার এবং আপনার ক্লায়েন্টের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কিন্তু ইংরেজি ভাষা। সেকারণে ভালো কাজ পেতে, এবং ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে কাজ বুঝিয়ে দিতে ইংরেজি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
কোথা থেকে শুরু করবেন?
অনলাইনে ব্যবসায় সম্পর্কিত কাজ পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত মার্কেটপ্লেসে, যেমন আমাদের ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসটিতে রয়েছে (www.elance.com)আমাদের মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিন প্রচুর ব্যবসায় ও বিপণন সম্পর্কিত কাজ পোস্ট হয়ে থাকে। যেমন, ইল্যান্সে প্রতিদিন গড়ে বিপণন বিষয়ক কাজ পোস্ট হয় প্রায় ১০০টি, এবং ব্যবসায় বিষয়ক কাজ পোস্ট হয় গড়ে ১৫-২০টি । কাজ শুরু করতে প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল www.elance.com–এ গিয়ে একটি ফ্রি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, এবং প্রোফাইলটি আপনার নাম, ছবি, পড়াশোনা এবং কাজের অভিজ্ঞতার তথ্য, ইত্যাদি দিয়ে পূরণ করতে হবে। প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেলে আপনি ওয়েবসাইটটির “ফাইন্ড ওয়ার্ক” সেকশনে গেলেই দেখতে পাবেন প্রচুর জব লিস্ট করা আছে। আপনি সেখান থেকেই ব্যবসায় সম্পর্কিত জবগুলোতে অ্যাপ্লাই করা শুরু করে দিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, অ্যাপ্লাই করার আগে অবশ্যই জবের বর্ণনা ভালোমতো পড়ে নিবেন, এবং পড়ার পর যদি মনে হয় কাজটি আপনি পারবেন, তবেই অ্যাপ্লাই করবেন। আর অ্যাপ্লাই করার সময় খেয়াল রাখবেন আপনার প্রপোজাল (কভার লেটার) যদি প্রফেশনাল হয়। যদি আপনার অ্যাপ্লিকেশান ক্লায়েন্টের পছন্দ হয়, তাহলে আপনাকে সে কাজে সেই কাজটির জন্য হায়ার করে নিবে, এবং এভাবেই শুরু হয়ে যাবে আপনার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার
সবার শেষে আবারো বলছি, ফ্রিল্যান্সিং যে শুধু প্রোগ্রামার বা ডিজাইনারদের জন্য, তা নয়। যদি দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরাও অনলাইনে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ একটি ক্যারিয়ার খেয়াল রাখবেন, চাকরি থেকে কিন্তু চাইলে একজন কর্মীকে বাদ দিয়ে দেয়া যায়, কিন্তু আপনার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার থেকে কিন্তু আপনাকে কেউ বাদ দিতে পারবেনা তাই একবার শুরু করে দিলে এই ক্যারিয়ার সারাজীবন আপনার উপার্জনের একটি পথ হয়ে থাকবে এমনি যদি কোন কারণে দেশের বাইরে যেতে হয়, অথবা শহর পরিবর্তন করতে হয়, তাওআপনাকেআপনারপেশাবাকাজছাড়তেহবেনা তাই আজকে থেকেই নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারেন আধুনিক যুগে কাজ করার এই নতুন ধরনের পেশায়, এবং নিজের কাজের অভিজ্ঞতা কে নিয়ে যেতে পারেন এক নতুন উচ্চতায়
কারও কোন প্রশ্ন থাকলে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন এখানেঃ elancebangladesh@gmail.com
ধন্যবাদ,
সাইদুর মামুন খান
কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ
ইল্যান্স।

ক্যারিয়ার গড়ুন গ্রাফিক ডিজাইনে

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা। এ কাজটি একই সাথে আনন্দদায়ক এবং সৃজনশীল। যদি আপনার মাঝে ক্রিয়েটিভিটি থাকে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন নিজেকে। বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র আর তুমুল চাহিদা থাকার কারণে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারের গ্রহণযোগ্যতা খুবই বেশি। তবে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ, জানতে হবে নিত্য-নতুন কলা-কৌশল।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

সহজ কথায় বললে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যে কোন তথ্য বা ছবি শৈল্পিক উপায়ে উপস্থাপন করা হয়। একজন ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবহারকারির মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত ও নান্দনিক উপায়ে তথ্য পৌঁছে দিতে পারেন।



যা জানতে হবেঃ

গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার প্রয়োজন নেই তবে ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষতা থাকলে অনেক ভালো করতে পারবেন। অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি কিংবা বিদেশি বায়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা একটি পূর্বশর্ত। এ ছাড়া কম্পিউটার অপারেট করা জানতে হবে অর্থাৎ বেসিক কম্পিউটিং সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে খুবই ভালো হয়; তাহলে আপনি যে কোন বিষয়ে অনলাইন থেকে সাহায্য নিতে পারবেন। ডিজাইনের কাজের জন্য প্রয়োজন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার যেমন অ্যাডোবি ফটোশপ, অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর প্রভৃতি। যদি আপনার মন হয়ে থাকে সৃজনশীল অর্থাৎ আপনার যদি আঁকাআঁকি করতে ভালো লাগে তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট।

কিভাবে শিখবেনঃ
  • ভালো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়া
  • প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারের অধীনে কাজ করা
  • অন্যের কাজ অনুসরণ করা
  • অনলাইনে সার্চ করা
  • মানসম্মত টিউটোরিয়াল দেখা

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র

যে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণার জন্য দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিকল্প নেই। তাই ডিজাইনারকে কাজ করতে হয় মানুষের বয়স, আচার-আচরণ, পেশা, চাহিদা প্রভৃতি দিকগুলো বিবেচনা করে। আগেই বলা হয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের ক্ষেত্র বিস্তৃত। তবে সাধারণভাবে গ্রাফিক ডিজাইনের যেসব ক্ষেত্র বিদ্যমান তা হলঃ

লোগো তৈরিঃ

লোগো হচ্ছে একটি কোম্পানির পরিচয় বা ব্র্যান্ড। লোগোর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে চেনা যায় খুব সহজেই। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ড অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল কিংবা ফেইসবুক এবং বাংলাদেশের ব্র্যান্ড আড়ং, গ্রামীণফোন, প্রাণ কিংবা প্রথম আলো শুধুমাত্র তাদের লোগো দেখেই চিনতে পারা যায়। মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন লোগো কিন্তু একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকেই তৈরি করতে হয়। শুধু প্রতীক নয় লোগোর সাথে কালারিংও ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। লোগো যেমন লোকাল বিজনেসে প্রয়োজন হয় তেমনি তা অনলাইনেও বহুল চাহিদা সম্পন্ন একটি বিষয়।




ওয়েব ডিজাইনঃ

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে অনলাইন উৎকর্ষের এই যুগে ওয়েবসাইটের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন এমনকি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও অনেকে তৈরি করতে চান। আর ব্যবসার প্রসারে ওয়েবসাইট অতি প্রয়োজনীয় একটি হাতিয়ার। ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুদৃশ্য বাটন তৈরি, ব্যানার তৈরি, ইমেজ এডিটিং, আইকন তৈরি প্রভৃতি কাজ করা ছাড়াও একজন গ্রাফিক ডিজাইনার পিএসডি টেম্পলেটের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ ওয়েব সাইটের আর্কিটেকচার তৈরি করতে পারেন।  

ভিজিটিং কার্ড তৈরিঃ

ডিরেক্ট মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং এর জন্য ভিজিটিং কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়েরই পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য ভিজিটিং কার্ড জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ভিজিটিং কার্ডের পরিসর ছোট হওয়ার কারণে এখানে ডিজাইন করতে হয় সুন্দরভাবে যাতে সংক্ষেপে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফুটিয়ে তোলা যায়। ভিজিটিং কার্ড গ্রাফিক ডিজাইনের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। লোকাল মার্কেটেই শুধু নয়, অনলাইনেও আপনার ডিজাইনকৃত ভিজিটিং কার্ড সেইল করে আয় করতে পারবেন।




বিজ্ঞাপন তৈরিঃ

পন্যের প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যপূর্ণ, নান্দনিক এবং বিনোদনমূলক বিজ্ঞাপন ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহজেই। একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে একটি বিজ্ঞাপন আবেদন তৈরি করতে পারবে কিনা। বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্যও রয়েছে নানা মাধ্যম। অনলাইন, প্রিন্ট কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেখানে প্রচারের জন্যই হোক সবরকমের দক্ষতা একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের থাকতে হবে।  
এর বাইরেও ব্রশিয়র ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন সহ রয়েছে আরও অনেক ক্ষেত্র। শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে শুরু করতে পারেন ডিজাইনার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার। 


কোথায় জব পাবেনঃ

- বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
- পত্রিকা/ম্যাগাজিন/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
- অনলাইন মার্কেট প্লেইস  
- প্রিন্টিং এবং ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান
- ওয়েব ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠান

যেসব বিষয়ে আপনাকে যত্নবান হতে হবেঃ

->ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে যথাযথ প্রশিক্ষণ নেয়া
->নিজে থেকে কিছু করার চেষ্টা করা (ক্রিয়েটিভিটি)
->নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখা
->প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারদের কাজ অনুসরণ করা
->কাজের স্যাম্পল/টেম্পলেট তৈরি করে রাখা
->মার্কেটিং করা 


যারা এখনো ভাবছেন কি করা যায়, দ্বিধা-দ্বন্দে দিন কাটাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে শুরু করে দিন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজ। দেশে বিদেশে আপনার জন্য কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত। উচ্চমানের চাহিদা সম্পন্ন একটি প্রফেশন হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন।

লেখকঃ সাদিক আহমদ

কেমন হবে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল



কোথাও চাকরীর আবেদন করতে হলে যেমন প্রতিষ্ঠানের নিকট আপনার বায়ো-ডাটা জমা দিতে হয় ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং করতে হলেও একটি “ভার্চুয়াল” বায়ো-ডাটার প্রয়োজন হয়। এখানে সুবিধা হচ্ছে আপনাকে বারবার বায়ো-ডাটা জমা দিতে হবে না। শুধু নির্ধারিত মার্কেটপ্লেসে একটি প্রোফাইল তৈরি করবেন ব্যস। বাকি কাজ ক্লায়েন্ট / বায়ারের। তারাই নিজ উদ্যোগে আপনার প্রোফাইল দেখে নিবে। বলে রাখা ভাল যে ফ্রিল্যান্সিং কখনোই কোন চাকরি নয় বরং তার চাইতেও ভাল কিছু। তবে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রমান করার পূর্বশর্ত হচ্ছে মার্কেটপ্লেসে একটি সাজানো গোছানো প্রোফাইল প্রস্তুত করা। অগোছালো বা অপূর্ণ প্রোফাইল দিয়ে হয়তো টুকটাক কিছু কাজ পাওয়া যাবে কিন্তু চূড়ান্ত সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। আমার এই টিউনটিতে কিভাবে নিজের প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাবেন তা বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ
প্রোফাইল পিকচার বা ছবিঃ

আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলে ঢুকেই সর্বপ্রথম যা চোখে পরে তা হচ্ছে আপনার ছবি। প্রোফাইল পিকচার হিসাবে কোন ছবি বাছাই করার ক্ষেত্রে সতর্ক হউন।মন গড়া ভাবে যেনতেন ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা অত্যাবশ্যকীয় ।এমন কোন ছবি ব্যবহার করবেন না যেখানে আপনার ব্যক্তিত্বে আঘাত হানে। আপাদ-মস্তক কোন ছবি দিবেন নাকারন প্রোফাইল পিকচারের জায়গাটি অনেক ছোট হয়ে থাকে।এরকম ছবিতে আপনার চেহারা সম্পূর্ণরুপে বুঝা যাবে না। আবার কোথাও ভেকেশানে গিয়েছিলেন সেখানে চরম আনন্দময় মুহূর্তে ছবি উঠিয়েছেন,আমি সেটি ব্যবহার থেকেও আপনাকে বিরত থাকার পরামর্শ দিবো। অথবা সব ঠিকঠাক আছে কিন্তু ব্যকগ্রাউন্ডে দেখা গেল দামী কোন মডেলের গাড়িতে হেলান দিয়ে তুলা হয়েছিল ছবিটি।বিশ্বাস করুন কোন ক্লায়েট এতো পয়সা ওয়ালা একজন কন্ট্রাক্টরকে হায়ার করবেন না।মুলত সে ভয় পাবে আপনার সাথে নেগোশিয়েশন করতে।জাস্ট বি প্রফেশনাল।তার মানে নিশ্চই কোট-টাই পড়া, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা কালারের, মুখ গম্ভীর করা কোন ছবি বাছাই করতে বলছি! জি না। এতটা প্রফেশনাল কোন ফ্রিল্যান্সারের হওয়া উচিত নয়।
প্রথমত প্রোফাইল পিকচারে আপনার চেহারা স্পষ্টবুঝা যেতে হবে।সিম্পল হাস্যোজ্যল হবে আপনার চেহারা। কোট-টাই প্রয়োজন নাই।টি শার্ট পড়া ছবি হলে আমি বেশী প্রাধান্য দিবো।কিন্তু আপনার চেহারাকে মাধুর্য প্রদান করবে এমন পোশাক পরিহিত ছবিই বাছাই করুন।খুবই সাধারণ ব্যকগ্রাউন্ড রাখুন ছবিটির যেন কোন ক্রমেই পর্যবেক্ষকআপনার চেহারার চাইতে বেশি দৃষ্টি সেখানে না দেয়। অমলিন এক চিলতে হাসি দেওয়া পোট্রেইট সাইজের ছবি রাখুন প্রোফাইল পিকচার হিসাবে।প্রয়োজনে প্রফেশনাল কোন ফটোগ্রাফার দিয়ে আজই একটি ছবি তুলে নিন।
টাইটেল-ট্যাগ, ডেসক্রিপশনঃ
আপনার স্কিল অনুযায়ী টাইটেল-ট্যাগ-ডেসক্রিপশন লিখুন। একই ধাচের কাজের নাম দিয়ে টাইটেল ও ট্যাগ লাইন বসান। ধরুন আপনি HTML,CSS,HTML5,CSS3,PSD  to HTML,PHP, JavaScript, WordPressএসব কাজ ভাল জানেন।তাহলে ক্রমানুসারে এগুলা বসান টাইটেল ট্যাগ হিসাবে। কিন্তু একই সাথে ওয়েব ডিজাইন,ইন্টারনেট মার্কেটিং, এপ্লিকেশন ডেভলাপমেন্ট,সার্ভার রক্ষনাবেক্ষন, কাস্টমার সার্ভিস এবং কন্সাল্টেন্সি জাতীয় কাজ আপনার প্রোফাইল রাখবেন না।এতে আপনার প্রোফাইলের সক্ষমতা নস্ট হয়।যা করছেন একটা কাজ করুন এতে আপনার ইন্ডস্ট্রিতে আপনি সহজে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। সফলতাও পাবেন।তাছাড়া সার্চ ইঞ্জিনে আপনাকে খুজে পেতে টাইটেল অংশটি বিরাট ভুমিকা রাখে। ডেসক্রিপশন/অভারভিউ লিখার ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করুন। প্রথম লাইনে এমন কিছু বলার চেষ্টা করুন যেন ক্লায়েন্ট দেখা মাত্র সম্পূর্ণটি পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আপনি কোন কাজে এক্সপার্ট বেশী,কোনটিতে কম এখানে এসব বলার প্রয়োজন নেই। কারন আপনার টাইটেল আর ট্যাগ লাইন বলে দিবে আপনার দক্ষতা।  ডেসক্রিপশনে আপনার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন। এছাড়া আপনার কাজ করার স্ট্রেটিজি অল্প কথায় লিখুন।ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এবং কাজের ব্যপারে আপনি যথেষ্ঠ বন্ধু ভাবাপন্য সেটি উল্লেখ করুন। বুঝাবার চেষ্টা করুন আপনি কাজকে ভালবাসেন বলেই এ ধরনের কাজ করেন। ডেস্ক্রিপশনে কোথাও গ্রামারটিক্যাল ভুল বা ভাবের আতিশয্য যেন প্রকাশ না পায় সেটি লক্ষনীয়। কারন আপনার নিজের প্রোফাইল ডেসক্রিপশনেই যদি টুকটাক ভুল রেখে দেন তা হলে ক্লায়েন্টের কাজে যে ভুল রাখবেন না সেটি কিভাবে আশা করা যায়! তাই ইংরেজীর প্রতি যত্নবান হউন। ইন্টারনেটে অনেক গ্রামার চেকার টুল রয়েছে। চাইলে অবশ্যই আপনার ডেসক্রিপশনটি সেখানে চেক করিয়ে নিতে পারেন।
ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ
ফ্রিল্যান্সার পেশা মানেই নতুন কিছু করতে চাওয়ার আগ্রহ। তাই নতুনত্বের মর্যাদা এখানেই সব চেয়ে বেশী। প্রায় সব ফ্রিল্যান্স/আউটসোর্সিং মার্কের প্লেস তাদের কন্ট্রাকরদের জন্য সম্প্রতি নতুন এই ফিচারটি যোগ করেছে। আপনি চাইলে এখনই আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলে ভিডিও রেকর্ড করে আপলোড করে দিতে পারেন আপনার প্রোফাইলে। সর্বোচ্চ ১ মিনিটের একটি ভিডিওতে আপনি কি ধরনের কাজ করেন,কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ,কোন মড়ালের ভিত্তি করে কাজ করেন এবং সর্বশেষে ক্লায়েন্ট কিভাবে-কোথায় আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে হাসি মুখে বলুন।ভিডিও ডেসক্রিপশন মুলত কন্ট্রাক্টর এবং ক্লায়েন্ট এর সম্পর্ককে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। ভিডিও রেকর্ডের সময় লক্ষ রাখুন যেন ব্যকগ্রাউন্ডে কোন নয়েজ না থাকে এবং সর্বোচ্চ রেজুলেশন রাখার চেষ্ঠা করুন।ভিডিও ডেসক্রিপশনটি কেমন হবে তার একটি নমুনাঃhttps://www.youtube.com/watch?v=hn_EG_1zXPY
কেমন হবে কাজের রেটঃ
আপনি কি রকম ঘন্টা প্রতি রেটে কাজ করতে আগ্রহী তার একটি সাধারন ধারণা ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে দেয়া ঘন্টাপ্রতি রেট থেকে পায়।কাজেই এটি নির্বাচনের সময় একটু ভেবে চিন্তে লিখুন। সবচেয়ে ভাল হয় আপনার ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য দক্ষ ব্যক্তিরা কি রেটে কাজ করে তা জানুন। তাদের কাজের সাথে আপনার নিজের কাজের তুলনা করুন তারপর ঠিক করুন আপনার ঘণ্টা প্রতি কাজের দাম কত হওয়া উচিত। তবে কখনই কম দামে কাজ করবেন না।আপনার কাজের মুল্য কি সেটা আগে জানুন পরে দাম ঠিক করুন।আমি একটি নীতিতে বিশ্বাস করিঃ “Do it free rathen than doing it less”
পোর্টফোলিওঃ

আপনি এ পর্যন্ত যত ফ্রিল্যান্স কাজ করেছেন তার স্ক্রিনশট নিয়ে উক্ত কাজের বিবরন এবং লাইভ লিঙ্ক সহ আপনার প্রোফাইলে যোগ করতে পারেন।এখানে উল্লেখ্য যে আজে বাজে কোন কিছু পোর্টফোলিও আইটেম হিসাবে এড না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আপনার ইম্প্রেশন নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।তাই আপনার প্রোফাইলটাযেই ধরনের কাজ করার জন্য তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কিত অতীতের অনুশীলন এবং অন্য ক্লায়েন্ট এর জন্য করা কাজের স্ক্রিনশট দিতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদের অনুমতি সাপেক্ষে।
টেস্টসঃ
ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে টেস্টস। একজন ফিল্যান্সার কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করে সেখানে তার দক্ষতা কতটুকু তা বুঝার জন্য কোন ক্লায়েন্ট টেস্ট অংশটুকুতে চোখ ভুলাতে ভুল করেনা। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই টেস্ট অংশটি সাজানো উচিত আমাদের।প্রোফাইলের শুরুর দিকে যেই টাইটেল-ট্যাগ এবং ডেসক্রিপশন অংশটি শেষ করেছি এখানে তারই প্রতিফলন পরবে। তাই আপনি কেই ক্যাটাগরির কাজ করুন না কেন সকল মার্কেটপ্লেসেই সেগুলোর কিছু না কিছু টেস্ট রয়েছে। একটু সময় নিয়ে হলেও টেস্ট গুলো দিন। ভাল ফলাফল করা টেস্ট গুলোর রেজাল্ট পাবলিক ভিসিবল করে রাখুন আর খারাপ করা টেস্ট গুলো হাইড করে রাখতে পারেন ইচ্ছে করলে।
এমপ্লয়মেন্ট হিস্টোরি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতাঃ
যদিও এই অংশগুলোর একটাও ততোটা গুরুত্ব পূর্ণ নয় তথাপি নিজের প্রফাইলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিশ্চয়ই এই বিষয় গুলো হালনাগাদ করে নিতে কেও আপত্তি করবেন না। শুধু তাই নয় যখন একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে এসে দেখতে পাবে প্রত্যেকটা অংশে আপনার সুচারু হাতের স্পর্শ রয়েছে নিঃসন্দেহে এরকম একটি প্রোফাইলের প্রতি ক্লায়েন্ট দুর্বল হয়ে পরবে। সে বুঝবে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল নিয়ে কতটা সিরিয়াস এবং ভবিষ্যতে যদি সে আপনাকে হায়ার করে তাহলে তার কাজেও আপনি এরকমই সিরিয়াসনেস প্রদর্শন করবেন- এরকমই ধারণা জন্মাবে তার মনে।
আরও কিছু বিষয় রয়েছে হয়তো আমি জেনে শুনেই এরিয়ে গিয়েছি কারন এমন কিছু বিষয় আছে যা সবাই যানেন কাওকে বলে দেয়া লাগে না। অসংখ্য ভুল ভ্রান্তিতে ভরা থাকতে পারে আমার এই লিখাটিতে কিন্তু এ পর্যন্ত নিজে যে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা আজকে এখানে তুলে ধরার প্রয়াস করেছি মাত্র। ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

লেখক: আনোয়ার হোসাইন
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "জানুয়ারী ২০১৪" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Wednesday, December 24, 2014

কাজের সময় রিস্টার্ট হচ্ছে পিসি, দূর করুন বিরক্তি


কাজের  সময় যখন তখন পিসি রিস্টার্ট হচ্ছে অথবা উইন্ডোজ লোড হয়েই আবার রিস্টার্ট  করছে। যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কেন এমন হয়?বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।  আসুন দেখে নিই কারণগুলো

* সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের কারণে এমনটি হয়।  তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে পিসি স্ক্যান করুন। তাতেও কাজ না হলে উইন্ডোজ  ইন্সটল ছাড়া গতি নেই।

* ইন্টারনেট অপরিচিত মেইল, এটাচমেন্ট, মেসেজ ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এভাবেই ভাইরাস বেশি ছড়ায়।

* র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন।
*  মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।  কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি  রিমুভ করে ফেলুন।

* পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।

* সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।

*  বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারণেও এটা হতে পারে। হয়তো আপনার  ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা, এ কারণে দরকারি হেভিওয়েট কাজের সময়  সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়। এক্ষেত্রে  বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন। * আর ভোল্টেজ  উঠানামার কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য ইউপিএস ব্যবহার করুন।
কাজের  সময় যখন তখন পিসি রিস্টার্ট হচ্ছে অথবা উইন্ডোজ লোড হয়েই আবার রিস্টার্ট  করছে। যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কেন এমন হয়?বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।  আসুন দেখে নিই কারণগুলো

* সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের কারণে এমনটি হয়।  তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে পিসি স্ক্যান করুন। তাতেও কাজ না হলে উইন্ডোজ  ইন্সটল ছাড়া গতি নেই।

* ইন্টারনেট অপরিচিত মেইল, এটাচমেন্ট, মেসেজ ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এভাবেই ভাইরাস বেশি ছড়ায়।

* র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন।
*  মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।  কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি  রিমুভ করে ফেলুন।

* পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।

* সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।

*  বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারণেও এটা হতে পারে। হয়তো আপনার  ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা, এ কারণে দরকারি হেভিওয়েট কাজের সময়  সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়। এক্ষেত্রে  বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন। * আর ভোল্টেজ  উঠানামার কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য ইউপিএস ব্যবহার করুন।
কাজের সময় যখন তখন পিসি রিস্টার্ট হচ্ছে অথবা উইন্ডোজ লোড হয়েই আবার রিস্টার্ট করছে। যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কেন এমন হয়?বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আসুন দেখে নিই কারণগুলো

* সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের কারণে এমনটি হয়। তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে পিসি স্ক্যান করুন। তাতেও কাজ না হলে উইন্ডোজ ইন্সটল ছাড়া গতি নেই।

* ইন্টারনেট অপরিচিত মেইল, এটাচমেন্ট, মেসেজ ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এভাবেই ভাইরাস বেশি ছড়ায়।

* র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন।
* মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি রিমুভ করে ফেলুন।

* পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।

* সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।

* বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারণেও এটা হতে পারে। হয়তো আপনার ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা, এ কারণে দরকারি হেভিওয়েট কাজের সময় সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়। এক্ষেত্রে বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন। * আর ভোল্টেজ উঠানামার কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য ইউপিএস ব্যবহার করুন।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/16974/index.html#sthash.oChP5EWR.dpuf
কাজের সময় যখন তখন পিসি রিস্টার্ট হচ্ছে অথবা উইন্ডোজ লোড হয়েই আবার রিস্টার্ট করছে। যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কেন এমন হয়?বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আসুন দেখে নিই কারণগুলো

* সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের কারণে এমনটি হয়। তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে পিসি স্ক্যান করুন। তাতেও কাজ না হলে উইন্ডোজ ইন্সটল ছাড়া গতি নেই।

* ইন্টারনেট অপরিচিত মেইল, এটাচমেন্ট, মেসেজ ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এভাবেই ভাইরাস বেশি ছড়ায়।

* র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন।
* মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি রিমুভ করে ফেলুন।

* পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।

* সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।

* বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারণেও এটা হতে পারে। হয়তো আপনার ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা, এ কারণে দরকারি হেভিওয়েট কাজের সময় সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়। এক্ষেত্রে বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন। * আর ভোল্টেজ উঠানামার কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য ইউপিএস ব্যবহার করুন।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/16974/index.html#sthash.oChP5EWR.dpuf

Sunday, December 21, 2014

নষ্ট মেমরি ঠিক করার উপায়!

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মেমরি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটার মধ্যে আপনি রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ সব ডাটা। এছাড়াও জীবনের সৃত্মি চিহ্নিত কিছু ছবি আমরা আমদের মোবাইলের মেমরি কার্ডের মধ্যেই রাখি। তথ্য আদান প্রদান করার সময় ফোনের মেমোরি কার্ড হঠাৎ.খুলে নেওয়া হলে বা কোনো ভাবে সংযোগ বিছিন্ন হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। ফলে আপনি পরেন মহাবিপাকে। অবশেষে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট হারিয়ে আপনি হতাশায় ভোগেন। নানান ভাবে এমন অকেজো মেমোরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা বাহ্যিকভাবে নষ্ট মেমরি কার্ডকে ঠিক করা কঠিন। তারপও আধুনিক কম্পউটারের যুগে সবই সম্ভব।

এবার আপনাদের জানাবো কিভাবে নষ্ট মেররি কার্ড ঠিক করবেন।

ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে:

মেমোরি কার্ডের তথ্য দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ডেটা উপস্থিত থাকে কিন্তু কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্র সেটিকে পড়তে (রিড) পারে না। এক্ষেত্রে সবাই ভাবে যে মেমোরি কার্ডটি বোধহয় নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু না, এমন অবস্থা থেকেরিকভারি সফটওয়্যার মেমোরি কার্ডটাকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

আর এ জন্য যা করতে হবে আপনাকে:
প্রথমে কার্ড রিডারে মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে নিয়ে কম্পিউটারে সংযোগ দিন। খেয়াল রাখুন, মেমোরি কার্ড ফাইল এক্সপ্লোরারে বা হার্ড ড্রাইভের অন্যান্য ডিস্কের মতো দেখালে এটিতে প্রবেশ করা যাবে না, কিন্তু ফাইল সিস্টেম ঠিক আছে। এবার য়াপনার উইন্ডোজ এর স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে cmd লিখুন। এতে আপনার স্টার্ট মেন্যুর উপর দিকে কমান্ড প্রম্পট(cmd) দেখা যাবে। এখন এর ওপর ডান বোতাম চেপে Run asadministratorনির্বাচন করে সেটি খুলুন। কমান্ড

প্রম্পট চালু হলে এখানেchkdskmr লিখে enter ক্লিক করুন। এখানে m হচ্ছে মেমোরি কার্ডের ড্রাইভ ।

কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ লেটার যে টি দেখাবে সেটি এখানে লিখে চেক ডিস্কের কাজটি সম্পন্ন হতে দিন।

এখানেconvertlostchainsto filesবার্তা এলে y চাপুন। এ ক্ষেত্রে ফাইল কাঠামো ঠিক থাকলে কার্ডের তথ্য আবার ব্যবহার করা যাবে। মেমোরি কার্ড যদিinvalid filesystemদেখায় তাহলে সেটির ড্রাইভের ডান ক্লিক করেFormat-এ ক্লিক করুন।File systemথেকেFATনির্বাচন করে Quick format-এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Format-এ ক্লিক করুন। ফরম্যাট সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডের তথ্য হারালেও কার্ড নষ্ট হবে না। ( সূত্র-ওয়েবসাইট)

Saturday, December 20, 2014

Speeding Up Your WordPress Website

12 Ways to Improve Your Load Time

1.  Plugins

We all love them. There’s nothing more cuddly than a brand new plugin that super charges your website. But we are all guilty of installing ones we don’t really need, or of installing a plugin, trying it out, deciding we don’t really need it and deactivating it, leaving it sitting inactive in our installation ( an inactive plugin won’t slow your site down but it will take up space. This will only cause you problems if you have restricted space).
Here are some tips for plugin use for speedy-sites:
  • Only install plugins that you plan to use
  • Install plugins on a test site before installing on your main site
  • Deactivate and delete plugins that you aren’t using
  • Don’t use a plugin when you can use code 
Okay, on a clean install of WordPress 3.1 with TwentyTen installed here is a site’s score with Google’s Page Speed Tool:
Speed score of 78/100
That’s okay. Not great but not dreadful either.
Here is the same install with 10 of WordPress’ most popular plugins activated:
Speed score 47/100
So much slower…… It’s not hard to see the difference that the plugins make.
NB: The plugins that I used for this test are:

2. Cache

A caching plugin will make the biggest difference to your blog or website’s speed. If you are concerned about speed and don’t have one installed it should be the first thing that you do. Every time someone visits your website WordPress gathers up all of the information that it needs from your database. A caching plugin stores a flat HTML version of your website and, provided there has been no changes – a new comment or blog post, for example – serves that up instead.
There are a number of different caching plugins out there and it can be difficult to know which one to choose. The one that you go with will largely depend on what your website needs. Do you have a small website that needs a simple caching plugin for a small number of visitors? Or do you have large amounts of traffic and require lots of options to customize the plugin as you wish?
  • WP Super Cache – This is a modification of the WP Cache plugin. It stores data as HTML so a page visit does not require a trip to the database.
  • W3 Total Cache – This does everything that WP Super Cache does but with bells and whistles, including managing your CDNminifying your Javascript and CSS, and caching your databasequeries – great for big sites that need a whole load of options.
Here’s how my test site did after I set up W3 Total Cache without installing the above ten plugins:
Speed score 95/100
And this is interesting – with the same ten plugins installed as above, running W3 Total Cache check out the results:
Speed score of 86/100
That’s even faster than a clean WordPress install. If you’re not caching –please start now!

3. Choose a Good Hosting Provider

This can be a difficult task – especially if you’re not familiar with the ins and outs of web hosting. Many people, when they set up their first website, will go with a popular and cheap shared hosting option like Host Gator and GoDaddy.

How Do I Choose a Web Host?

  • A good place to start is WordPress.org where they have recommendations of hosts to use.
  • You should also talk to friends and family about their own hosting. There’s nothing better than a personal recommendation.
  • Make sure it meets the minimum requirements for WordPress
  • Always get Linux hosting – Windows hosting will cause you problems
  • Shared hosting will be slower than dedicated hosting. Remember that the speed of your website will be affected by the number of people using that hosting. If you have just a basic low-traffic site then shared is fine, but for bigger sites you’ll need to use VPS or dedicated hosting.

4. Optimize Your Images for Web

Adobe save for web
One of my big bugbears is people not optimizing their images for use on the web.
Simply: Big image = big file size = slow load times
Don’t you understand that it takes much longer to load 300 pixels in an inch than 72 pixels
You should, always resample your image to 72ppi.
You can use one of these methods:
  • There is a wordpress free plugin to reduce image size WP-Smush.it
  • Resample your image using a piece of image editing software – even programs such as Previewon the Mac can do this. You could also try out this great online image editing tool – Pixlr
  • If you’re a Photoshop user always use “Save for Web and Devices” when saving your images. You can find it in the “File” menu. You can also go to File>Automate>Batch to resize large numbers of images at once. It’s one of my favorite time saving techniques.
  • You can use Yahoo’s free Smush it tool for resizing. This can save quite a lot on your image size, sometimes even more than the “Save for Web” in Photoshop

5. Farm Out Your Video

youtube screengrab
Unless you’ve got a super–fast server with loads of space, hosting your videos on services such as Vimeo or YouTube can help with your speed. If you have a site with loads of videos then no doubt you’ve already taken server speed into consideration but if you are just posting the occasional video you should definitely host elsewhere.

6. Optimize Your Database

Over time your database can get unruly. However, you can use the optimize function to clean up any wasted space that you have. It’s especially effective if you’ve recently just deleted lots of comments, creating lots of dead space in your DB. You should optimize your database at least once a month.
There are a number of ways you can do it:

a) Manually

Go to phpMyAdmin and select your WordPress database:
phpMyAdmin database
Check all:
Check all button
Select Optimize Database from the dropdown:
Dropdown menu showing optimize tables option

b) Plugin:

A plugin like WP-DB Manager  will take care of this for you – you can set it up to optimize the database regularly and, like many plugins, it comes with other great options that let you automatically back up your database and perform other database management tasks.

WP DB Manager automatic settings

7. Choose the Right Theme

The right theme can make a huge amount of difference to your website’s speed. Themes with large amounts of images and scripts can slow down your website. Here are a few tips to help you choose a speedy theme (or speed up your own theme):
  • Choose a theme with a CSS menu, not an image based menu
  • Always go for CSS before images
  • Avoid image heavy themes
  • Don’t install a theme with anything you don’t need. Do you really need a theme with 37 sidebars? If you love that theme but don’t need the side bars remove them.
  • Make sure there is no redundant CSS or Javascript

8. Use Excerpts and Limit Front Page Posts

posts graphicThis won’t be so relevant if you’re using WordPress as a CMS to power your website but it is important for bloggers, especially prolific bloggers and bloggers who write long, image heavy, posts. If you have them all feeding through to your front page you can expect to see your website slowing down over time. It’s obvious why this is – more data = longer load times.
You can mitigate against this by using excerpts and limiting the number of posts that load on the front page.

Limit Front Page Posts

Easy to do by going to Reading > Settings:
posts on homepage set to ten

Excerpts

To use post excerpts you’ll need to edit some code. In your index.phparchive.phpand category.php you’ll need to find the following line:
 <?php the_content();?>
And replace with:
<?php the_excerpt();?>
This means that you can now write custom excerpts for your post and have them displayed within your theme. If you don’t fill in the custom excerpt section WordPress will pull the first 55 characters from your post and use that instead.

9. Reduce PHP Queries

This one is a bit controversial so I thought I would include it. All WordPress themes contain some generic code which is used to pull data from your database. This can be replaced with static html.  So, for example, this:
 <?php bloginfo('name'); ?> <?php bloginfo('description');?>
Could be replaced with:
 <title> My Blog – the best blog in the world, ever</title>
This means one less query on your database. You could go through your whole theme and replace all of the unnecessary php calls with html.

10. Disable Hot Linking

Hotlinking is when another internet user uses an inline link to display an image that is hosted on your site. You know, those people who do a Google image search and not only think that it’s okay to use your image but also are fine about embedding the image using the link to the one you host, thereby leaching up your precious bandwidth.
You can ensure that this doesn’t happen by adding the following code to you htaccess file:
WARNING! Always backup your htaccess file before making any changes.
#disable hotlinking of images with forbidden or custom image option
RewriteEngine on
RewriteCond %{HTTP_REFERER} !^$
RewriteCond %{HTTP_REFERER} !^http://(www.)?yourdomain.com/.*$ [NC]
#RewriteRule .(gif|jpg)$ – [F]
#RewriteRule .(gif|jpg)$ http://www.yourdomain.com/stealingisbad.gif [R,L]

11. Clean up after yourself

An easy way to build up too much data is to not clean up after yourself. You should clean your WordPress website as regularly as you clean your house (which for me isn’t too regularly).

Trash

Your trash is cleared automatically after 30 days.  You trash a post and 30 days later it’ll be gotten rid of. You can empty the trash manually by going to Posts > Trash and clicking “Empty Trash” like so:
empty trash button
But, like everything else with WordPress, there is a way to do it automatically. Simply add the following to your code to you wp-config.php file:
define('EMPTY_TRASH_DAYS', 10 );
That will set it to empty ten days after trashing.

Revisions

You can use a plugin such as Better Delete Revision which will take care of it for you.
If you don’t use your revisions you can just stop WordPress from saving them altogether(only do this if you really don’t want them – I use my revisions quite a lot so would never turn them off).
To turn off your revisions altogether add the following to your wp-config.php
define(‘WP_POST_REVISIONS’, false);
If you want to just limit your revisions to, for example, 3, you can use the following code:
define(‘WP_POST_REVISIONS’, 3);

12. Turn Off Communication

If you’ve got a big blog with a lot of traffic that people link to a lot all of that chatter could slow your website down. Trackbacks and pingbacks generate data on your website every time someone links to you. Turning these off can improve your site speed. This isn’t a difficult thing to do. Just log into your dashboard and go to Admin>Discussion and make sure the following is unchecked:
That’s just eleven of the ways that you can speed up your WordPress website. There are loads more ways to do it. If you’re still trying to improve your load time you should check out these great resources below which can help you even further.
Speed Testing:
Google Speed Check Online
Pingdom Speed Check Online
GTMetrix Speed Check Online

Improve a WordPress website Page Speed by 50% in 5 minutes

The 5 minute page speed improvement guide.

Step 1 – Caching plugin
The plugin W3 Total Cache will cache and compress a load of files to reduce page download time.
  1. Log into WordPress as admin
  2. Plugins -> Add New -> Search ‘total cache’ -> Install ‘W3 Total Cache’
  3. Plugins -> Activate W3 Total Cache
  4. Under the new ‘Performance’ menu -> General Settings -> Select the following:
    1. Enable ‘Page cache’
    2. Enable ‘Minifiy’ (keep default settings)
    3. Enable ‘Browser cache’
  5. Click any ‘save all settings’ button
  6. Select ‘Empty the page cache’ notification if it appears at the top of the page
  7. Double check your WordPress site/blog to make sure everything is working


Step 2 – .htaccess modication (Apache server only)
Modifying the .htaccess file to tell the browser to cache and compress various files to reduce server load and improve page speed performance.
  1. FTP Download the .htaccess file from the root of your WordPress site
  2. Open the .htaccess file using your favourite text editor
  3. Copy and paste the below code at the end of the file and re-upload
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
##### EXPIRE CACHING - LEVERAGE BROWSER CACHING #####
# Enable expirations
ExpiresActive On
# Set default expire time
ExpiresDefault "access 2 week"
# Specify expire time by file type
ExpiresByType image/jpg "access 1 month"
ExpiresByType image/jpeg "access 1 month"
ExpiresByType image/gif "access 1 month"
ExpiresByType image/png "access 1 month"
ExpiresByType text/css "access 1 month"
ExpiresByType application/pdf "access 1 month"
ExpiresByType text/x-javascript "access 1 month"
ExpiresByType image/x-icon "access 1 month"
## END EXPIRE CACHING ##

ফেসবুক ব্যবহার করে কোটিপতি

তিন বছর আগেও যিনি ছিলেন দেউলিয়া, পথের ফকির, জেল ফেরত আসামি আর আজ তাঁর মাসে আয় দুই লাখ ৭৫ হাজার ডলারেরও বেশি! বাংলাদেশি অর্থ যার পরিমাণ দুই কোটি সাড়ে নয় লাখ। ফেসবুকের যথাযথ ব্যবহারই তাঁকে দেউলিয়া থেকে কোটিপতি বানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডব্লিউটিএফ ম্যাগাজিন ও ফানিয়ারপিকস ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা জেসন ফিকের কথা।
ফেসবুকের কল্যাণে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করা জেসন ফিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। ২০০৫ সাল থেকেই অর্থকষ্টে ছিলেন জেসন। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাজারে মন্দা চলতে থাকায় তাঁর দুরাবস্থা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছায়। স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পড়েন মহাবিপদেই। টিকে থাকার জন্য আয়ের পথ খুঁজতে থাকেন তিনি।
এ সময়ই তাঁর বন্ধুরা একটি ওয়েবসাইট খোলার পরামর্শ দেন জেসনকে। বন্ধুদের কথা শুনে ডব্লিউটিএফ ম্যাগাজিন ডটকম ডোমেইনটি কিনে ফেলেন তিনি। চিন্তা করেন এই সাইটটিতে বিনোদনমূলক বিভিন্ন কনটেন্ট রাখবেন তিনি। তাঁর এই ডিজিটাল উদ্যোগের সঙ্গে হাত মেলান কয়েকজন বন্ধু। কিন্তু এ সময় কোনো অর্থকড়ি ছাড়াই শুরু করতে হয় এই উদ্যোগটি। জেসনের ভাষ্য, ‘আমার দলটি কোনো রকম আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়া কাজ করে যাচ্ছিল। আমরা মজার মজার কনটেন্ট তৈরি করে যাচ্ছিলাম। আমরা আসলে কী করছিলাম সে সম্পর্কে ধারণা ছিল না।’
২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইট চালু করেন তিনি। এতে মজার মজার সব কনটেন্ট আপলোড করেন। তৈরি করেন ফেসবুক পেজ এবং তাঁর ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে একই রকম কনটেন্ট শেয়ার করতে শুরু করেন। এ সময় ম্যাগাজিনের জন্য একটি গল্প সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁকে জেলে যেতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মারামারিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। কোনো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না। পরিবারকে সাহায্য করার মতো অর্থও ছিল না। তিনি আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর কারাভোগের অভিজ্ঞতার ঘটনা প্রকাশের জন্য একটি মাধ্যম খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় তিনি বেছে নেন ফেসবুককে।
জেসন ফিক পরিকল্পনা করেন তাঁর ম্যাগাজিনসহ বেশ কিছু ফেসবুক পেজ খুলবেন এবং সেগুলোতে লাইক বাড়ানোর মাধ্যমে তাঁর তৈরি ওয়েবপেজগুলোতে ভিজিটর আনবেন। এরপরই জেসন শুরু করেন তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ।
বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ফ্যান পেজ খুলে লাইক বাড়ানোর কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। ওয়েবসাইটে ভালো কনটেন্ট এবং ফেসবুকে লাইকের কারণে ওয়েবসাইটে ভালো পাঠক পেতে শুরু করেন এবং বিজ্ঞাপন থেকে দ্রুত তাঁর আয় বাড়তে থাকে।
শুরুতে অনেকগুলো ফেসবুক পেজ তৈরি করে তা চালাতে শুরু করেন জেসন। জেসন বলেন, ‘ফেসবুকে অনর্থক সময় দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রী রাগ করতে শুরু করলেও আমি না খেয়ে বসে ফেসবুক পেজগুলো চালাতাম। আমি আমার স্ত্রীকে বলতাম ফেসবুকে আমি যে ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ করছি এর মূল্য একদিন পাব।’
বর্তমানে জেসন ৪০টি ফেসবুক পেজ চালাচ্ছেন এবং এসব পেজগুলোতে সব মিলিয়ে দুই কোটি ৮০ লাখ লাইক রয়েছে। এই ফেসবুক পেজগুলো থেকে তাঁর ওয়েবসাইটে অসংখ্য পেজভিউ হয়। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন থেকে তাঁর আয়ও আসে প্রচুর। এ ছাড়াও জেসন সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক পরামর্শক হিসেবেও ব্যবসা শুরু করেছেন। বর্তমানে ১৬ জনের কর্মসংস্থানও করেছেন তিনি।
৪০ বছর বয়সী জেসন ফিক দাবি করেন, শুধু ফেসবুকের কার্যকর ব্যবহারের কল্যাণেই তাঁর ভাগ্য বদলাতে পেরেছেন এবং নিজেকে একজন কোটিপতি হিসেবে দেখতে পারছেন। এই ব্যবসায় লাভ যেমন তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

Monday, December 15, 2014

Jokes

এলাকায় নতুন ডাক্তার এসেছন যিনি নাকি সব রোগের  চিকিৎসা করান। বিফলে তিন গুন মূল্য ফেরত। করিম সাহেবের মনে হল ডাক্তারকে একটু পরীক্ষা করা যাক--
করিমঃ ডাক্তার সাহেব আমি কোন কিছুতেই স্বাদ পাইনা। কি করি বলুন তো!
ডাক্তারঃ বুঝতে পেরছি আপনাকে ৪৩ নম্বর ওষুধটি খাওয়াতে হবে।
করিম ওষুধটি খাওয়ার পরেই বুঝতে পারল আসলে সেটা গোবর।
করিমঃ আমাকে তো আপনি গোবর খাওয়ালেন!
ডাক্তারঃ এই তো স্বাদ ফিরে এসেছে। আমার ভিজিট দেন।
একদিন পর করিম  আবার গেল ডাক্তারের চেম্বারে টাকা ওসুলের আশায়।
করিমঃ ডাক্তার সাহেব আমার কিছুই মনে থাকেনা।
ডাক্তারঃ বুঝতে পেরছি আপনাকে ৪৩ নম্বর ওষুধটি খাওয়াতে হবে।
করিমঃ না ডাক্তার আমার স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে।


মশা, তেলাপোকা,
বিড়াল এবং মুরগির মজার
ফেসবুক স্ট্যাটাস !!
:
তেলাপোকাঃ হা হা হা...
এইমাত্র এক মাইয়্যার ঘাড়ে
উড়াল দিয়া বসছিলাম...
কি জোরে এক
চিল্লান দিলো রে...
উফফ...
আরেকটু জোরে চিল্লান দিলে
আমি হার্ট এটাক করতাম...
feeling- বাম কানে শুনতে পাচ্ছি
না.
:
:
বিড়ালঃ আজ মনটা ভীষণ
খারাপ...
কখনও
ভাবিনি আমাকে কোনদিন এমন
প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।
আজ আমার ৪ নাম্বার
বাচ্চা জিজ্ঞাসা করেছে তার
বাপ কে...??? আমি কোন
উত্তর দিতে পারিনি...feelin
g-Sad
:
:
মশাঃ ফ্রেন্ডস...
আমি হয়তো আর বাঁচবো না... এক
লুইচ্চার রক্ত
খাইতে গিয়া আজ
আমি এইডস রোগে আক্রান্ত।
ওই শালার রক্তে যে HIV আছে,
আমি সত্যি জানতাম না.....
যাবার আগে সব মশাদের
উদ্দেশ্যে বলছি--
"বাঁচতে হলে জানতে হবে"।


মুরগিঃ ফ্রেন্ডস খুব ভয়ে আছি...
আজ অনেকক্ষণ
চেষ্টা করেও ডিম পাড়তে
পারিনি। কিছুদিন যাবৎ কি যেন
হয়েছে... আমার ডিম আসছে না
এবার মনে হয় মালিক
আমাকে জবাই করে ফেলবে...
.feeling.কিছুক্ষন পর রোস্ট


নারীদের একটি দারুণ সাইকোলজি পরীক্ষা
সাইকোলজির টিচার
ক্লাশে ঢুকেই বললেন- আজ পড়াবো
না। সবাই খুশি। টিচার ক্লাশের
মাঝে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলেন।
বাইরে বৃষ্টি, বেশ গল্পগুজব করার মত একটা পরিবেশ। ষ্টুডেন্ডদের মনেও
পড়াশুনার কোন প্রেশার নাই।
টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই
পাশের মেয়েটাকে বল্লেন- জননী
তোমার কি বিয়ে হইছে?মেয়েটা
একটু লজ্জা পেয়ে বলল- জ্বী স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে।
টিচার চট করে দাড়াইলেন। খুব
হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন-
আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয়
মানুষদের নাম জানবো। এই কথা
বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বল্লেন- মা আজকে তুমিই টিচার। এই
নাও চক, ডাষ্টার। যাও তোমার প্রিয়
দশ জন মানুষের নাম লেখো।
মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন
মানুষের নাম লিখলো। টিচার
বললেন- এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো।মেয়েটা এদের
পরিচয় লিখলো। সংসারের সবার
নামের পাশে দুই একজন বন্ধু,
প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার
এবার বললেন- লিষ্ট থেকে পাঁচ
জনকে মুছে দাও।মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম
মুছে দিলো। টিচার একটু মুচকি হাসি
দিয়ে বললেন। আরো তিন জনের নাম
মুছো।মেয়েটা এবার একটু ভাবনায়
পড়লো। ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা
এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে। খুব মনযোগ দিয়ে
দেখছে মেয়ার সাইকোলজি
কিভাবে কাজ করছে। মেয়েটার
হাত কাঁপছে। সে ধীরে ধীরে তার
বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছলো। এবং
বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রিতিমত কাঁদছে। যে
মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো,
সেই মজা আর নাই। ক্লাশের অন্যদের
মাঝেও টানটান উত্তেজন।লিষ্টে
আর বাকী আছে দুইজন। মেয়েটার
হাজবেন্ড আর সন্তান।টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছো।
কিন্তু মেয়েটা ঠায়দাঁড়িয়ে
রইলো। কারো নাম মুছতে সে আর
পারছেনা। টিচার বললেন- মা গো,
এইটা একটা খেলা।
সাইকোলজিক্যাল খেলা। জাষ্ট প্রিয়মানুষদের নাম মুছতে বলছি।
মেরে ফেলতে তো বলি নাই!
মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে
ছেলের নামটা মুছে দিলো। টিচার
এবার মেয়েটার কাছে গেলেন
বোর্ডের কাছে। পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন-
তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা
গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত। আর
এই গিফ্ট বক্সে দশটা গিফ্ট আছে।
তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য। এবার
বলো, কেন তুমি কোন নামগুলো মুছলে।মেয়েটা বলল-প্রথমে বন্ধু আর
প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম।
কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট ফ্রেন্ড
আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন
আরো তিন জনের নাম মুছতে বল্লেন,
তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড আর বাবামায়ের নাম মুছে দিলাম। ভাবলাম, বাবা
মা তো আর চিরদিন থাকবেনা। আর
বেষ্ট ফ্রেন্ড না থাকলে কি
হয়েছে? আমার কাছে আমার পুত্র আর
তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু
সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে বল্লেন। তখন আর
সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।
পরে ভেবে দেখলাম, ছেলেতো বড়
হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে
গেলেও যেতে পারে। কিন্তু
ছেলের বাবাতো কোনদিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।