Monday, October 27, 2014

শর্টকাট ভাইরাস থেকে খুব সহজেই স্থায়ী মুক্তি পেতে চাইলে যা কিছু করবেন আপনি

হঠাৎ করে দেখলেন কম্পিউটার শর্টকাট ফাইল-ফোল্ডারে ভরে গেছে। বারবার ডিলিট করেও এ থেকে মুক্তি মিলছে না। হুটহাট অনেক ফাইল-ফোল্ডার হারিয়েও যাচ্ছে। ইদানীং এই সমস্যায় প্রায় সবাই পড়ছেন। এটি কোনো ভাইরাস নয়। এ হলো VBS Script (ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট)। এ যন্ত্রণা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
CMD ব্যবহার করে
১. ওপেন CMD (Command Prompt – DOS)
২. নিচের কমান্ডটি হুবহু লিখুন
attrib -h -s -r -a /s /d Name_drive:*.*
এবার Name_drive লেখাটিতে যে ড্রাইভটি আপনি শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত করতে চান সেটি লিখুন। যেমন: C ড্রাইভ ভাইরাসমুক্ত করতে চাইলে লিখুন attrib -h -s -r -a /s /d c:*.*
৩. এন্টার বাটন চাপুন
৪. এবার দেখবেন শর্টকাট ভাইরাস ফাইল ও ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবার ওই ফাইল ও ফোল্ডারগুলো ডিলিট করে দিন।
.bat ব্যবহার করে
Bat ফাইল হলো নোটপ্যাডে লেখা একটি একজেকিউটেবল ফাইল। এতে ডাবল ক্লিক করলেই চালু হয়ে যায়।
১. নোটপ্যাড ওপেন করুন।
২. নিচের কোডটি হুবহু কপি-পেস্ট করুন
@echo off
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
@echo complete.
৩. এবার Name_Drive এর জায়গায় ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভের নাম লিখুন। যদি তিনটির বেশি ড্রাইভ আক্রান্ত হয় তাহলে কমান্ডটি শুধু কপি-পেস্ট করলেই চলবে।
৪. removevirus.bat এই নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করুন।
৫. এবার ফাইলটি বন্ধ করে ডাবল ক্লিক করে রান করুন।
৬. এবার দেখবেন আপনার শর্টকাট ভাইরাস ফাইল-ফোল্ডারগুলো সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন সব ডিলিট করে দিন।
এছাড়া নিচের কৌশলও নিতে পারেন
আক্রান্ত পেনড্রাইভ থেকে বাঁচতে
১. RUN এ যান।
২. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
৩. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন। এবার কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না।
আক্রান্ত কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করতে
১. কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।
২. PROCESS ট্যাবে যান।
৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
৪. End Process এ ক্লিক করুন।
৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।
৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।
৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।
৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।
৯. এখন RUN এ যান।
১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
১১. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।
ব্যাস, আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত। এবার পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাসও আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না।
-Collected.

Thursday, October 16, 2014

কি-বোর্ডের বোতাম বদলাতে চান?

অনেক সময় কি-বোর্ডের এক বা একাধিক বোতাম নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও ই-মেইল ঠিকানা বা পাসওয়ার্ডে যদি a থাকে এবং কি-বোর্ডের a বাটনটি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে কি-বোর্ড থেকে a লেখা যায় না। এর একটা সমাধান হলো, কোথাও a লেখা থাকলে সেখান থেকে আপনি a কপি করে এনে এখানে পেস্ট করতে পারেন বা কম্পিউটারের অন-স্ক্রিন কি-বোর্ডটি খুলে কাজ করতে পারেন। কিন্তু এতে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং অনেকেরই বিরক্ত লাগে।
যাঁরা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের ভালোই জানা আছে, তখন কী ঝামেলা হয়। অথচ আপনি ছোট একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অর্থাৎ আপনি শার্প-কি নামের ছোট একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে কি-বোর্ডের বোতামগুলো পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। যেমন ধরুন, আপনার কি-বোর্ডের a বোতামটি নষ্ট। আপনি ইচ্ছা করলে কি-বোর্ডের অন্য একটি বোতামকে (যেটি সব সময় কাজে লাগে না বা যে বোতাম কি-বোর্ডে একাধিক আছে) a বোতামে রূপান্তর করতে পারেন। শার্প-কি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে From key-এ কোনো কি চেপে (যে কি-টি ভালো আছে) এবং To kay তে নষ্ট কি-টি (নষ্ট কি যদি a হয় তা হলে a) চেপে ওকে করুন। তা হলে অন্য কি-টি a কি-তে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ওই কি-টি চেপে a লেখা যাবে।
মাত্র ২৩ কিলোবাইটের শার্প-কি সফটওয়্যারটি http://www.ziddu.com/download/13507897/sharpkeys2.zip.html ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন।
—মো. আমিনুর রহমান

কম্পিউটার দ্রুত গতির করার কিছু টিপস


সিডি থেকে তথ্য পুনরুদ্ধার

অনেক সময় সিডি বা ডিভিডি পুরোনো হয়ে গেলে বা বেশি বেশি চালালে সিডির ফাইলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন আর সেগুলো কপি করা যায় না। আপনার অনেক দরকারি তথ্য হয়তো কোনো সিডিতে রেখেছেন, কিন্তু সেই সিডি যদি আর না খোলে বা সেই তথ্যগুলো যদি আর পড়া না যায়, তা হলে সবই শেষ। 
আপনি চাইলে ছোট একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই নষ্ট সিডির ফাইলগুলো কপি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে www.recoverytoolbox.com/cd.html ঠিকানা থেকে মাত্র ৬৫৫ কিলোবাইটের রিকভারি টুলবক্স সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে ওপেন করলে দেখবেন আপনার সিডি/ডিভিডি-রম ড্রাইভটি দেখা যাচ্ছে। এখন পরপর দুইবার নেক্সট-এ ক্লিক করলে দেখবেন আপনার সিডির ফাইলগুলো দেখা যাচ্ছে। এখন সবগুলো ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁদিক থেকে সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে সেভ করুন। আবার নির্দিষ্ট কিছু ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁদিক থেকে নির্দিষ্ট বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সেভ-এ ক্লিক করুন। ফাইলগুলো কপি হওয়ার পর সি ড্রাইভে গিয়ে দেখবেন CDRestored ফোল্ডারের ভেতর ফাইলগুলো সেভ হয়েছে এবং সেগুলো ভালো আছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই দেখুন জিমেইল

ইন্টারনেটে কাজ করছেন। হঠাৎ কোনো কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বা ইন্টারনেটের গতি খুব ধীর হলো। কিন্তু তখনই আপনার জিমেইলে আসা ই-মেইল দেখা খুবই জরুরি। কী করবেন? জিমেইলে ‘অফলাইন মোড’ নামে একটি সুবিধা আছে, যেটা সক্রিয় করে রাখতে পারেন। তাহলে অফলাইনেও জিমেইল দেখতে পারবেন। অফলাইন মোড সক্রিয় অ্যাকটিভ করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইট দেখার জন্য গুগল ক্রোম সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিতে হবে। এখন http://goo.gl/yPOg3 ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে জিমেইলে সাইনইন করুন। তারপর ওপরে ডান পাশ থেকে Add to Chrome-এ ক্লিক করুন। ছোট একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করতে বললে ইনস্টল করুন। এখন ওপরে ডান পাশ থেকে Launch App-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Allow offline mail নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন। এখন অফলাইন মোডে আপনার জিমেইলের ইনবক্স দেখতে পাবেন। এই পেজই হলো অফলাইন মোডে জিমেইল। সম্পূর্ণ জিমেইল, অর্থাৎ ইনবক্স, আউটবক্স, সেন্ট মেইল, ড্রাফটস, ক্যালেন্ডার, ডক্স, স্প্রেডশিট ইত্যাদি দেখতে চাইলে বা সম্পাদনা করতে চাইলে ওপরে ডান পাশে Menu-তে ক্লিক করুন। কারও কাছে ই-মেইল পাঠাতে হলে Compose-এ ক্লিক করে পাঠাতে পারবেন। Compose-এ ক্লিক করে মেইলটি লিখে Send-এ ক্লিক করলে আপনার ই-মেইলটি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আউট বক্সে থেকে যাবে। যখনই আপনার ব্রাউজার ইন্টারনেট কানেকশন পাবে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার মেইলটি অটো চলে যাবে।
এখন থেকে আপনি ইন্টারনেটে কাজ করার সময় যদি কখনো আপনার ইন্টারনেট সংযোগ চলে যায় বা ইন্টারনেটের গতি খুব কম থাকে, তাহলে আপনার জিমেইল অটো অফলাইন মোডে চলে যাবে এবং আপনি ওপরে Menu-তে ক্লিক করে জিমেইলের সবকিছু চেক করতে পারবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

ফেসবুক ই-মেইল ঠিকানা বদলাতে চান?

সব ব্যবহারকারীর ফেসবুক প্রোফাইলে তাদের নিজস্ব ই-মেইল পরিচিতি বা ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকের ইউজারনেমই হলো ফেসবুক ই-মেইল আইডি। যাঁরা তাঁদের ফেসবুকে ইউজারনেম যুক্ত করেছিলেন, তাঁদের সেই ইউজারনেমের সঙ্গে facebook.com নাম যুক্ত করে ফেসবুক ই-মেইল পরিচিতি তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা ফেসবুকে ইউজারনেম যুক্ত করেননি, ফেসবুক নিজে থেকে তাঁদের জন্য একটা ইউজারনেম নির্বাচন করে তাঁদের প্রোফাইলে যোগ করে দিয়েছে। তাই এখন প্রায় সবার ফেসবুক প্রোফাইলেই ফেসবুক ই-মেইল আইডি আছে। 
কারও যদি ফেসবুক ই-মেইল আইডিটি পছন্দ না হয়, তাহলে সেটি একবার পরিবর্তন করতে পারবেন। ফেসবুকের ইউজারনেম পরিবর্তন করলেই ফেসবুক ই-মেইল আইডি পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর এটি করার জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Home থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Username-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে কমপক্ষে পাঁচটি বর্ণের ইউজারনেম লিখে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার ফেসবুক ই-মেইল আইডি হবে username@facebook.com.। এখন অন্যান্য ই-মেইল আইডির মতো এই ই-মেইল আইডি দিয়েও মেইল আদান-প্রদানসহ সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপনার ফেসবুকের ইনবক্সে আপনার কাছে আসা ই-মেইলগুলো দেখতে পাবেন এবং সেখান থেকে কাউকে ই-মেইলও করতে পারবেন।
-মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, October 14, 2014

ই-মেইল একজনের, ব্যবহার করছে আরেকজন?

Hi, I am in trouble. Please send me some money. নিচে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়া। আপনার কোনো বন্ধুর ই-মেইল থেকে হয়তো মেইলটি এসেছে। এ রকম ই-মেইল ইদানীং অনেকের কাছেই আসে। বিশেষ করে ইয়াহু মেইলে মাঝেমধ্যে এ ধরনের মেইল আসে পরিচিত জনের কাছ থেকে। যারা বিদেশে থাকে, তাদের মেইল থেকেই এ ধরনের মেইল আসে বেশি। অনেকে মেইল পাওয়া মাত্র টাকা (ডলার) পাঠিয়ে দেয় ওই ক্রেডিট কার্ড নম্বরে। এই টাকাগুলো চলে যায় হ্যাকারের দখলে। আবার যারা জানে, তারা ই-মেইলটা পাত্তা না দিয়ে মুছে ফেলে।
হ্যাকাররা কারও কারও ই-মেইল ঠিকানা বেদখল (হ্যাক করা) করে এ ধরনের মেইল পাঠিয়ে থাকে। ক্রেডিট কার্ডের তথ্যে নিজেদের কার্ডের নম্বর দিয়ে দেয়। টাকা চলে যায় তাদের অ্যাকাউন্টে।
যারা এ ধরনের ই-মেইল প্রায়ই পায়, তারা বুঝে যায় যে কাজটি হ্যাকারের। যারা নতুন বা প্রথম এ ধরনের মেইল পায়, তারা অনেক সময় বুঝতে পারে না। টাকা পাঠিয়ে পরে বুঝতে পারে। সেই টাকা সাধারণত আর ফেরত আনা যায় না।
হ্যাকাররা প্রথমে কারও আইডি হ্যাক করে ওই আইডির ইনবক্স, সেন্ট আইটেম থেকে কিছু মেইল পড়ে বা কনটাক্ট লিস্ট থেকে কারও কারও মেইলে এ ধরনের মেইল পাঠিয়ে থাকে, যাতে পুরো মেইল বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
প্রতিকার: কারও ই-মেইলে এ ধরনের মেইল এলে তাকে (যার আইডি থেকে এসেছে) মোবাইল ফোনে, ফেসবুকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন যে সে এই মেইলটি করেছে কি না।
হ্যাকার যদি তার অন্যান্য মাধ্যমও (ফেসবুক, অন্য ই-মেইল ঠিকানা) হ্যাক করে ফেলে, তাহলে হ্যাকারই আবার অন্য আইডি থেকে উত্তর দেবে। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করা বা ভয়েস চ্যাট করে জিজ্ঞেস করা। মেইল বা ফেসবুকে বার্তা দিয়ে জিজ্ঞেস করতে চাইলে মেসেজটি ইংরেজি হরফে বাংলা লিখুন। যেমন, Tumi ki taka cheye amar kache email korecho? তাহলে হ্যাকার যদি বাংলা ভাষা না জানে, তাহলে সে বুঝবে না।
হ্যাকার যদি আপনার আইডি হ্যাক করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলে, তাহলে আপনি যখন আপনার আইডিতে ঢুকতে পারবেন না, তখনই বুঝতে পারবেন আপনার আইডি হ্যাক হয়েছে। আর হ্যাকার যদি আপনার পাসওয়ার্ড জেনে যায় কিন্তু পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে মাঝেমধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে, তাহলে কীভাবে বুঝবেন?
আপনার ই-মেইল বেদখল বা হ্যাকড হয়েছে, এটা হয়তো আপনি বুঝেছেন, কিন্তু হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে? কীভাবে জানবেন যে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে কি না?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে ঢুকে (লগ-ইন) আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Info নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। এখন নতুন পেজ এলে বাম পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত কয়েকবার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগ-ইন করে থাকেন এবং একই সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশ একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংস্করণ আছে। যেমন—ক্লাসিক, বেটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন সংস্করণে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করলেই হয়তো পেয়ে যাবেন।
হ্যাকারের হাতে আপনার ই-মেইল ঠিকানা।এখন এটি পুনরুদ্ধার করতে হবে।কীভাবে ফিরে পাবেন আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট—তা নিচে দেওয়া হলো।
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুতে ঢোকার (লগ-ইন) সময় যখন ঢুকতে পারবেন না, তখন লগ-ইনের নিচে I can’t access my account-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে I have a problem with my password নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে My Yahoo! ID-এ আপনার ই-মেইল ঠিকানা লিখে Enter the code shown বক্সে নিচে থাকা সাংকেতিক সংখ্যা বা অক্ষর লিখে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে My alternate email-এ আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা লিখে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে, তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
আপনার ই-মেইল ঠিকানায় যদি বিকল্প ই-মেইল উল্লেখ না করা থাকে বা আপনার বিকল্প ঠিকানাটাও যদি হ্যাকড হয়ে যায়, তাহলে My alternate email-এর নিচের অপশনটি Use my secret questions নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে আপনাকে দুটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নগুলো ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)।
প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে, তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অলটারনেটিভ ই-মেইল নামে একটি অপশন থাকে সেখানে আপনার অন্য এক বা একাধিক ই-মেইল ঠিকানা দিন এবং এতে মোবাইল ফোন নম্বর যোগ করুন।
যে ই-মেইল আইডি একবার হ্যাকড হয়েছে, সেটি আর ব্যবহার না করাই ভালো।কারণ, হ্যাকার ওই ই-মেইল আইডির অনেক তথ্য জেনে যায় এবং সে ইচ্ছা করলে আবারও ওই আইডি হ্যাক করতে পারে।
—মো. আমিনুর রহমান

ওডেস্কে কোম্পানি দেবেন যেভাবে

আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়ার জন্য মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) মধ্যে জনপ্রিয় ওডেস্ক ডট কম। অনেক দিন ধরেই হয়তো ওডেস্কে কাজ করছেন, অনেক প্রকল্প সম্পন্নও করেছেন। এখন অনেক কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন। কিন্তু একা সব কাজ করে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। আবার কোনো সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান চালু করার মতো অবস্থাও হয়নি।
এ অবস্থায় চাইলে ওডেস্কেই কোম্পানি খুলে বসতে পারেন। আপনার কনট্রাকটর অ্যাকাউন্টকে একই সঙ্গে কনট্রাকটর ও কোম্পানি, দুভাবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ আপনি একই সঙ্গে অন্যদের কাছে কাজের (জব) আবেদন করতে পারবেন, আবার আপনি নিজে কাজের ঘোষণা দিয়ে কনট্রাকটরদের দিয়ে কাজটি করিয়েও নিতে পারবেন। এতে সুবিধা হবে আপনি একটি কাজ ১৫০ ডলার চুক্তিতে নিয়ে অন্য কনট্রাকটর দিয়ে সেটি ১০০ ডলারে করিয়ে নিলেন, আপনার লাভ থাকল ৫০ ডলার।
ওডেস্কে কোম্পানি দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে। ওপরে Wallet-এর নিচে Profile-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.odesk.com/d/profile.php ঠিকানায় যান। এখন বাঁ পাশে সবার নিচে Create a company-এ ক্লিক করুন। এখন দুটি অপশনের নিচেরটি I want to post jobs and hire oDesk contractors(Client)-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিন এবং Company Name-এর পাশের বক্সে আপনার কোম্পানির নাম দিন। এখন Create Your Company বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার কোম্পানি তৈরি হয়ে যাবে।
এখন ওপরে ডান পাশে আপনার নামের ডান পাশে দেখুন ছোট ত্রিভুজ আকৃতির চিহ্ন যুক্ত আছে। এখানে ক্লিক করলে দুটি নাম দেখতে পাবেন। একটি হলো আপনার নাম এবং অন্যটি আপনার কোম্পানির নাম।
আপনার নামের ওপর ক্লিক করলে আপনার কনট্রাকটর প্রোফাইল ওপেন হবে আর কোম্পানির নামের ওপর ক্লিক করলে কোম্পানির প্রোফাইল ওপেন হবে। এখন আপনার কোম্পানির নামের ওপর ক্লিক করুন। তাহলে নিচে ছবির মতো একটি পেজ দেখতে পাবেন। এটিই হলো আপনার কোম্পানির প্রোফাইল।
—মো. আমিনুর রহমান

আউটসোর্সিং : নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু টিপস

আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ওডেস্ক ডট কমে চার-পাঁচটা কাজের আবেদন করেই কাজ (জব) পেয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম পারিশ্রমিকে (ডলার) আবেদন করেছেন, তার ওপর। নতুন যাঁরা ওডেস্কের মাধ্যমে কোম্পানি হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো নিচে—
১. যেসব কাজদাতা বা বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত (পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড) হয় না, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাকটরকে কাজ দিতে গেলে বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত থাকতে হয়।
২. কোনো একটা কাজ প্রকাশ (জব পোস্ট) করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
৩. আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ওডেস্কে) থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু জব আছে যেগুলো প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানে এক দুই ঘণ্টার মধ্যেই করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে কোন ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো মেসেজ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার রিপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক।
৫. ওডেস্কে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাকটরকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। নিচের ছবিতে দেখুন, ছবির নিচের অংশে ডান পাশে Interviewing: 1লেখা আছে। অর্থাৎ এই জবে একজন কনট্রাকটরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বায়ার যদি তার পছন্দের কনট্রাকটর পেয়ে যায়, তাহলে আর অন্য কনট্রাকটরদের প্রোফাইল দেখবে না।
—মো. আমিনুর রহমান

ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পেতে করনীয়


ARcomputertips & Tutorials

সিমকার্ড নম্বর জানুন

নতুন সিম কিনলে অনেক সময় মনে থাকে না, সিমকার্ডের নম্বর কত? অথবা যাঁদের একাধিক সিমকার্ড, তাঁরাও অনেক সময় মনে রাখতে পারেন না কোন সিমকার্ডের নম্বর কত? নিচের পদ্ধতি অনুসারে সহজেই জানতে পারবেন, কোন সিমের নম্বর কত? 
গ্রামীণফোন—*১১১*৮*২# 
রবি—*১৪০*২*৪# 
এয়ারটেল—*১২১*৬*৩#

পেনড্রাইভ ফরম্যাট হচ্ছে না?

কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করলে অনেক সময় সেই কম্পিউটার থেকে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করা যায় না। তখন পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে চাইলে Start থেকে Control Panel-এ গিয়ে Administrative tools-এ দুটি ক্লিক করুন। তারপর Computer Management-এ দুটি ক্লিক। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভসহ সবগুলো ড্রাইভের তালিকা আসবে। এবার পেনড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।
মো. আমিনুর রহমান

আউটসোর্সিং এর কাজ শেখার বই

আউটসোর্সিং 2 : কাজ শিখবেন যেভাবে
-মো. আমিনুর রহমান

এবারের বই মেলায় তাম্রলিপির স্টলে এবং
http://rokomari.com/book/76309 -এ পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
For home delivery call-  015 1952 1971.


ফ্লাপে লেখা কথা
‘আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর’নামে গত বইমেলাতে আমার একটি বই বের হয়েছিল। বইটি ছিল আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কীভাবে তার উপর। বইটি পড়ে অনেক পাঠক অনুরোধ করেছে কাজ শিখতে হবে কীভাবে তার উপর আরেকটি বই লেখার জন্য। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই বইটি লেখা হয়েছে।বইটিতে আছে:


ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেন কীভাবে?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন কীভাবে?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখবেন কীভাবে?
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবেন কীভাবে?
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং শিখবেন কীভাবে?
ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন কীভাবে?
আর্টিকেল রাইটিং শুরু করবেন কীভাবে?
ডেটা এন্ট্রি শিখবেন কীভাবে?
গুগল এ্যাডসেন্স শিখবেন কীভাবে?
গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে হাজার ডলার আয় করা যায় কীভাবে?
সফল ফ্রিল্যন্সার হওয়া যায় কীভাবে?
ছাত্রছাত্রীদের জন্য আউটসোর্সিংয়ের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
এছাড়াও বইটিতে রয়েছে একজন সফল উদ্যেক্তার সাক্ষাৎকার এবং কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প।

ভূমিকা
‘অনেক দিন আগেই আমি ওডেস্কে একটা অ্যাকাউন্ট খুলেছি। কিন্তু জবে টবে অ্যাপ্লাই কারার সাহস পাইনা। যদি কাজটা ভালভাবে করতে না পারি তাহলে তো বায়ার আমাকে বাজে ফিডব্যাক দিবে। আগে কাজ ভালো ভাবে শিখবো তারপর জবে অ্যাপ্লাই করবো।’ ‘ইদানিং একটু ব্যস্ত সময় পার করছি, আগে একটু ফ্রি হয়ে নেই তারপর জবে অ্যাপ্লাই করবো।’ এভাবে চিন্তা করে অনেকে জবে অ্যাপ্লাই করেন না। আমার কথা হল আগে আপনি জব পান তারপর চিন্তা করবেন কীভাবে করবেন বা করতে পারবেন কি না। জব পাওয়ার পর যদি আপনি কাজটি করতে না পারেন তাহলে কী হবে? বায়ার আপনার কী করতে পারবে? আপনি যদি জবটি করতে না পারেন তাহলে বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দিবে না বা দিলেও তার সাথে একটা বাজে ফিডব্যাক দিবে। বাজে ফিডব্যাক দিলে আপনি বায়ারকে তার পেমেন্ট ফেরত (রিফান্ড) দিয়ে দিবেন। তাহলে আপনার প্রোফাইল থেকে সেই বাজে ফিডব্যাকটি মুছে যাবে। তাহলে আর ভয় কিসের। জবে অ্যাপ্লাই করা শুরু করে দিন। মানুষ কাজ করতে করতেই শিখে। কোন কাজ কীভাবে করবেন তা সবকিছু গুগলে আছে। একবার সার্চ দিয়েই দেখুন।

জব পেতে কত সময় লাগে? অনেকে এক বা দুইটা জবে অ্যাপ্লাই করেই পেয়ে যায় আবার অনেককে বলতে শোনা যায় কয়েক মাস হয়ে গেল এখনো জব পায়নি। আমি মনে করি জব পেতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগে। আপনি যদি প্রোফাইলকে ১০০% করেন এবং আইডি ভেরিফিকেশন করেন তাহলে প্রতি সপ্তাহে ২০-২৫ টি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। এক মাসে ১০০ টির মত। ১০০ টি জবে অ্যাপ্লাই করলে আপনি অবশ্যই জব পাবেন। তবে জবে অ্যাপ্লাই করার সময় কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখবেন যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি জবটি পড়েছেন এবং কাজটি করতে পারবেন।
-মো. আমিনুর রহমান

সূচিপত্র
১. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেন যেভাবে
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন যেভাবে
৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
৫. সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৬. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং
৭. ইমেইল মার্কেটিং
৮. আর্টিকেল রাইটিং
৯. আর্টিকেল রাইটিং শুরু করবেন কীভাবে?
১০. ডেটা এন্ট্রি
১১. গুগল এ্যাডসেন্স
১২. গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে হাজার ডলার আয় করছি যেভাবে
১৩. ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং : ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য করনীয়
১৪. কীভাবে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়
১৫. একজন সফল উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার
১৬. অনলাইন আউটসোর্সিং এবং আমার প্রাপ্তি
১৭. একটি বই এবং আমার পথ চলা
১৮. কম্পিউটার দোকানে কাজ করে পকেট খরচ চালাতাম
১৯. আমি আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ করছি
২০. আমি ডেটা এন্ট্রির কাজ করছি
২১. আমি এ্যাড পোস্টিংয়ের কাজ করছি
২২. লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই
২৩. অনুপ্রেরণার আদর্শ : স্টিভ জবস

লেখক পরিচিতি
মো. আমিনুর রহমান। লেখাপড়া করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় থেকেই প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে লেখালেখি শুরু করেন, চলছে এখনো। তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ডাক্তারদের জন্য তৈরি করেন ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামের একটি সফ্টওয়্যার। সেটি নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কয়েকজন ডাক্তার এখনো এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। চতুর্থবর্ষে পড়ার সময় তৈরি করেন এসএমএসে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার মাস ছয়েক পর মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করেন।

গত বইমেলাতে লেখকের প্রথম বই ‘আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর’ বের হয়। রকমারি.কমে বিক্রির দিক দিয়ে বইটি ২য় অবস্থানে আছে (http://www.rokomari.com/book/61910)। এটি লেখকের দ্বিতীয় বই। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন। পেশায় তিনি একজন ফ্রিল্যান্স ওয়েব প্রোগ্রামার। ভালোবাসেন সমরেশ মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে, সিনেমা দেখতে, আনিসুল হকের লেখা নাটক দেখতে এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলাম পড়তে।

লেখকের ইমেইল এবং ফেসবুক আইডি: aminurrahmansust@facebook.com
বইয়ের ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/outsourcing2

কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় নিচ্ছে?

কম্পিউটারে হয়তো অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে। যখন কম্পিউটার চালু হয় তখন অনেক প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। যেমন বিজয়, অভ্র, ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি। এতে কম্পিউটার চালু হতে অনেক সময় লাগে এবং অনেক প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হলে বিরক্তও লাগে। ইচ্ছা করলে খুব সহজেই এই অবস্থার পরিবর্তন করে শুধু আপনার দরকারি প্রোগ্রামগুলো খুলতে পারেন কম্পিউটার চালুর সময়।
এই কাজ করতে হলে প্রথমে Start থেকে Run-এ ক্লিক করে msconfig লিখে OK করুন। এখন ডান পশের Startup-এ ক্লিক করুন। আপনার কম্পিউটার চালুর সময় যে প্রোগ্রামগুলো চালু করতে চান না, সেগুলোর বাম পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এখন Services-এ ক্লিক করে যে প্রোগ্রামগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলোর বাম পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। কম্পিউটার Restart করতে বললে রিস্টার্ট করুন। এখন থেকে আপনার কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগবে না এবং ওই প্রোগ্রামগুলোও আর একা একা চালু হবে না।
—মো. আমিনুর রহমান

আউটসোর্সিং শুরু করার বই

আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর 
-মো. আমিনুর রহমান 

এবারের বই মেলায় তাম্রলিপির স্টলে(১৮১, ১৮২, ১৮৩) and http://rokomari.com/book/61910 -এ পাওয়া যাচ্ছে বইটি
Fro home delivery call (01841 115 115)
 

Book Summary

গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে আমার এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। তখন বিপুল পরিমাণ পাঠকের সাড়া পেয়েছিলাম। অনেক পাঠক অনুরোধ করেছিল লেখাগুলো বই আকারে বের করার জন্য। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য তখন আর বই বের করা হলো না। তারপর থেকেই প্রস্তুতি শুরু। তার সাথে নতুন আরও অনেক কিছু যোগ করে এবং আরও বিস্তারিত ভাবে এই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। এই বইটি পড়ে জানতে পারবেন আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কীভাবে, কোথায় কাজ পাওয়া যাবে, কোন কাজের কী যোগ্যতা লাগে, কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, কীভাবে জবে আবেদন করবেন, ইন্টারভিউ হয় কীভাবে, অর্থ উত্তোলন করবেন কীভাবে, কীভাবে কোম্পানি দিবেন, কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন, কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন কীভাবে, কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দিবেন কোথায় থেকে, সমস্যার সমাধান পাবেন কোথায়, সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস, ফ্রিল্যান্সিং সাইট চিনবার উপায় এবং কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প।

ভূমিকা

আউটসোর্সিং শব্দটি হয়তো শুনেছেন। আউটসোর্সিং করে অনেকে লাখ লাখ টাকা আয় করে এ কথাও হয়তো শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি কী, কীভাবে, কী করতে হয় এসব কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই, আউটসোর্সিং কী জিনিস? এর মাধ্যমে নাকি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়?’ আপনার সে ভাই উত্তর দিলেন, ‘কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি ইনকাম করেন। আপনি কম্পিউটারের কী কী জানেন?’ আপনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তেমন কিছুই জানি না। এমএস ওয়ার্ড জানি, ফেসবুকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট আছে, কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান আছে এই আর কি?’ আপনার সে ভাই জানালেন, ‘আপনি কি মনে করেছেন ডলার ইনকাম করা এতোই সোজা? এখানে সারা বিশ্বের প্রোগ্রামারদের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে জবে বিড করে কাজ পেতে হয়। আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ না।’ এ কথা শুনে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি আপনার আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেল, স্বপ্নটাও মরে গেল। আপনার ওই ভাই যদিও সত্যি কথাই বলেছেন তবু আপনার প্রশ্নের উত্তর এমনও হতে পারত, ‘আপনি কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দেখতে পারেন। ওখানে ফেসবুকের বেশ কিছু কাজ পাওয়া যায়। যেমন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফেসবুকের ফ্যান পেইজে লাইক সংগ্রহ করে দেওয়া, ডেটা এন্ট্রিরও অনেক কাজ আছে। আপনি অল্প রেটে আবেদন করলে সহজেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন। আপনি হয়তো শুরুতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন না, তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বে। তখন আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কীভাবে, কী করতে হবে?’ এ ধরনের উত্তর শুনে আপনি অনেক উৎসাহিত হবেন।

এই বইয়ে আমি যতটুকু সম্ভব আউটসোর্সিং বিষয়টিকে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বইটি পড়ে যদি পাঠকেরা উপকৃত হয় তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

-মো. আমিনুর রহমান

সূচিপত্র

আউটসোর্সিং
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়
কোন কাজের কী যোগ্যতা?
কাজ পাবেন যেখানে
কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
কীভাবে জব খুঁজবেন?
কীভাবে জবে আবেদন করবেন?
ইন্টারভিউ নেয় কীভাবে?
কীভাবে জব করবেন?
কীভাবে অর্থ উত্তোলন করবেন?
ওডেস্কে কোম্পানি দেবেন কীভাবে?
কীভাবে কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন?
কীভাবে জব পোস্ট করবেন?
কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন যেভাবে
কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দেবেন কোথা থেকে?
সমস্যার সমাধান পাবেন যেখানে
সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস
ফ্রিল্যান্সিং সাইট চেনার উপায়
সফলতার গল্প

লেখক পরিচিতি

মো. আমিনুর রহমান। লেখাপড়া করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় থেকেই প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে লেখালেখি শুরু করেন, চলছে এখনো। তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ডাক্তারদের জন্য তৈরি করেন ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামের একটি সফ্টওয়্যার। সেটি নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কয়েকজন ডাক্তার এখনো এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। চতুর্থবর্ষে পড়ার সময় তৈরি করেন এসএমএসে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার মাস ছয়েক পর মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করেন।

গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন। পেশা তাঁর আউটসোর্সিং। ভালোবাসেন সমরেশ মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে, সিনেমা দেখতে, আনিসুল হকের লেখা নাটক দেখতে এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলাম পড়তে।

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। 
ভাষান্তর সিমু নাসের 
প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই। আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।
আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প।
ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?
এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গলল। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।
এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারি কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।
পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহূত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমত্কার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যে মজা খুঁজে পেলাম।
এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমত্কার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।
আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।
আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।
আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশার ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।
সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।
পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি, আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিল খুব বাজে, তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু দরকারি। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।
আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু।
আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাত্ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?
প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।
সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিত্সকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিত্সা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ। 
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাত্ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট কোরো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।
আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।
স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল—ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।

আউটসোর্সিং : নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু টিপস

আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ওডেস্ক ডট কমে চার-পাঁচটা কাজের আবেদন করেই কাজ (জব) পেয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম পারিশ্রমিকে (ডলার) আবেদন করেছেন, তার ওপর। নতুন যাঁরা ওডেস্কের মাধ্যমে কোম্পানি হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো নিচে—
১. যেসব কাজদাতা বা বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত (পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড) হয় না, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাকটরকে কাজ দিতে গেলে বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত থাকতে হয়।
২. কোনো একটা কাজ প্রকাশ (জব পোস্ট) করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
৩. আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ওডেস্কে) থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু জব আছে যেগুলো প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানে এক দুই ঘণ্টার মধ্যেই করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে কোন ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো মেসেজ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার রিপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক।
৫. ওডেস্কে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাকটরকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। নিচের ছবিতে দেখুন, ছবির নিচের অংশে ডান পাশে Interviewing: 1লেখা আছে। অর্থাৎ এই জবে একজন কনট্রাকটরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বায়ার যদি তার পছন্দের কনট্রাকটর পেয়ে যায়, তাহলে আর অন্য কনট্রাকটরদের প্রোফাইল দেখবে না।
 
 

ওয়েবসাইট তৈরি শিখতে চান?

ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে চান? তাহলে www.w3schools.com ঠিকানায় যান। এখানে ওয়েবসাইট তৈরি করার বিস্তারিত নিয়ম-কানুন ও বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা শেখার পর সেই ভাষার ওপর বিনা মূল্যে পরীক্ষা দিয়ে যাচাই করারও সুযোগ আছে এ সাইটে। আরেকটু অ্যাডভান্স লেবেল সম্পর্কে জানতে চাইলে http://www.tutorialspoint.com ঠিকানায় যেতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে হলে প্রথমে শিখতে হয় এইচটিএমএল। এই সাইটগুলোতে সব প্রোগ্রামিং ভাষা ইংরেজিতে আলোচনা করা হয়েছে। সহজে এইচটিএমএল শেখার জন্য এইচটিএমএলের একটি বাংলা পিডিএফ ই-বুক পাবেন http://htmlbanglae-book.blogspot.com ঠিকানায়। তিন মেগাবাইটের পিডিএফ ই-বুকটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন ওপরের ঠিকানা থেকে। তবে কিছু কিছু সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইট, যেমন—ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদির সাহায্যে কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা না জেনেও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
—মো. আমিনুর রহমান