Sunday, July 24, 2016

ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম


ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম, বর্তমান যুগে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। যাকে প্রফেশনাল ভাষাতে অনেকেই ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগ বলছে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলে আর অ্যাডসেন্স বসালেইও ইনকাম শুরু হয়ে যাবেনা। ইউটিউবের চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করেছেন ইনকাম করার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু ভিজিটর না হলেতো ইনকাম নাই। ভিজিটর কিভাবে বাড়াবেন সেই বিষয়টি নিয়েই এ টিউনে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা পাবেন।



১ম পর্বের কাজ: (ভিডিও তৈরি এবং প্রস্তুতি)
ক) মানসম্মত ভিডিও নিয়ে আসে প্রচুর ভিজিটর। এটা সবসময়ে মাথাতে রাখতে হবে।
মানসম্মত ভিডিওর ৩টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে:
- কনটেন্ট: ভ্যালু ক্রিয়েট করে এরকম ভিডিও, কিংবা বিনোদিত করে এরকম কিংবা ফানি ভিডিও। অবশ্যই ইউনিক হবে।
- স্মার্ট প্রেজেন্টশন: ভিডিও কোয়ালিটি, সাউন্ড কোয়ালিটি, প্রফেশনাল এডিট।
- অ্যাংগেজমেন্ট: যে ভিডিও সংশ্লিষ্ট মানুষদের মনে দাগ কাটতে পারে, সেই রকম ভিডিও
খ) ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোডের সময় অনপেইজ অপটিমাইজেশন:
- টাইটেল: ভিডিওটির টাইটেলে সার্চ হয় এরকম কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত টাইটেল
- ডেসক্রিপশন: ভিডিওটির ডেসক্রিপশনে সংক্ষিপ্তভাবে ভিডিওটির ভিতরে কি পাবে, মানুষের ভিতরে আগ্রহ জন্মাবে এরকম ভাবে বর্ণনা লিখতে হবে। অবশ্যই কীওয়ার্ড বসানোর ব্যপারটি মাথাতে রাখতে হবে। ১ম লাইনেই কীওয়ার্ডটি যাতে থাকে।
- ট্যাগ: ট্যাগে সার্চ হতে পারে এরকম সম্ভাব্য সকল কীওয়ার্ডগুলো কমা কমা দিয়ে বসিয়ে দিন।
- থাম্বনেইল: থাম্বনেইল ইমেজের ক্ষেত্রেও সচেতন হোন। ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী হবে থাম্বনেইলটি দেখে।

♦ ১ম পর্বের কাজ শেষ, এবার দ্বিতীয় পর্ব: (ভিডিও মার্কেটিং)
এত যত্ন করে ভিডিওটি বানালেন, কিন্তু মানুষ দেখলোনা, তাহলে কষ্ট সব বৃথা হয়ে যাবে। তাই নিজের এ সৃষ্টিকে যতটা সম্ভব, বেশি মানুষের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করুন। মানুষ কোথায় কোথায় থাকে একবার চিন্তা করে বের করুন, নিজের মাথা খাটিয়ে। তাহলেই আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন কি করতে হবে।
- মানুষ যেকোন সময় ইউটিউবে এসে সার্চ করে। সেই সার্চে আপনার ভিডিওটি উপরে থাকলে আপনার ভিডিওতে দর্শক পেয়ে যাবেন।
- সোশ্যালমিডিয়া সাইটগুলোতে বর্তমানে সবচাইতে বেশি মানুষ থাকে। ইন্টারেস্ট জাগানোর মত মেসেজ লিখে সোশ্যালমিডিয়াতে ভিডিওটি শেয়ার করলে এখান থেকে প্রচুর ভিজিটর পাবেন।
- ব্লগ এবং নিউজ সাইটগুলোতে বর্তমান যুগে বিশাল সংখ্যক মানুষ নিয়মিত ভিজিট করে। এধরনের সাইটগুলোতে কোন টিউনের সাথে রেফারেন্স হিসেবে ভিডিওটি যুক্ত করুন।
- সোশ্যালমিডিয়া কিংবা ব্লগে একবার ভিডিও শেয়ার করলেই ভিজিটর পেয়ে যাওয়ার আশা করা উচিত হবেনা। বিভিন্ন কৌশলে প্রচুর শেয়ার করুন। তবে বিরক্তির সৃষ্টি না করে আগ্রহ জন্মিয়ে শেয়ার করতে হবে।
- চ্যানেল রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে গ্রুপ বা কমিউনিটি এবং ভিডিও রিলেটেড ব্লগ খুলতে হবে। ভাল ফলাফল পাবেন তাতে।

♦ সবশেষ পরামর্শ:
- টাকা ইনকামের জন্য ভিডিও না বানিয়ে মানুষের উপকারের জন্য কিংবা বিনোদিত করতে ভিডিও প্রস্তুত করুন।
- ভিডিও কনটেন্ট ইউনিক রাখুন। ভিডিওতে ব্যবহৃত অডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রেও যাতে ডুপ্লিকেট না হয়।
- মানুষের আগ্রহের বিষয়টি অ্যানালাইস করে তারপর ভিডিওর কনটেন্ট প্লান করুন।
- ভিডিওটি সম্পর্কে যারা আগ্রহী হতে পারে, তাদের কাছেই ভিডিওটির মার্কেটিং করুন। অন্যদের কাছে করে লাভ হবেনা।
ভিডিওতে ভিউ বাড়তে থাকলে এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে খাকলে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইভ বাড়তে থাকবে।

Thursday, July 21, 2016

বাড়ি থেকে চিরতরে দূর করুন, ইদুর, তেলাপোকা, মাছি, ছারপোকা, টিকটিকি ও মশা!


নানা কারণে ঘর বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়। আর একবার কোন পোকা ঘরে বসবাস শুরু করলে তা আর সহজে যেতে চায় না। বিশেষ করে মশা, তেলাপোকা, ছারপোকা ইত্যাদি। আর বেশীরভাগ বাড়িতেই তো একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর এবং টিকটিকি। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং ঘরোয়া উপায়ে এদের দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এসব উপদ্রব থেকে রক্ষার কিছু উপায়।
১। ইঁদুর
ঘর বাড়ির খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল ইঁদুর। এই ইঁদুর দূর করবে পেপারমেণ্ট। ইঁদুর পেপারমেণ্টের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। একটি তুলোর বলে পেপারমেন্ট অয়েল ডুবিয়ে নিন। এবার তুলোর বলটি ইদুরের বাসার কাছে রেখে দিন। পেপারমেণ্টের গন্ধ শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে তাদের নিঃশ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিবে এবং তারা মারা যাবে।
২। তেলাপোকা
তেলাপোকা নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া ভার! রান্নার মশলা দিয়ে দূর করুন এই তেলাপোকা। কিভাবে? গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসূন এবং পানি দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। পেষ্ট কিছুটা তরল করে তৈরি করবেন। এবার এটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। যেখানে তেলাপোকা দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন তেলাপোকা পালিয়ে গেছে। শুধু তেলাপোকা না অন্যান্য পোকা মাকড়ের হাত থেকে আপনার ঘরকে রক্ষা করবে।
৩। মাছি
মাছি তাড়ানোর অনেক উপায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল তুলসী পাতা। বারান্দায় বা জানলার কাছে একটি তুলসী গাছ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না। এছাড়া বিভিন্ন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার এবং ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকর।
৪। ছারপোকা
ছারপোকা দূর করতে পেঁয়াজের রস অনেক বেশি কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে পেঁয়াজের রস ভরে নিন। তারপর এটি স্প্রে করে দিন বিছানা, সোফার চারপাশে যেখানে ছারপোকা রয়েছে।
৫। টিকটিকি
ঘরের আরেকটি উপদ্রব হল টিকটিকি। এই টিকটিকি হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে কোণে বিশেষ করে ভেন্টিলেটরের কাছে ডিমের খালি খোসা ঝুলিয়ে রাখুন। ডিমের গন্ধ টিকটিকিকে দূরে রাখবে। তবে সেদ্ধ নয়, অবশ্যই কাঁচা ডিমের খোসা ঝোলাবেন। এছাড়াও ঘরে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। টিকটিকি ঘরের ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না।
৬। মশা
মশা তাড়ানোর জন্য কত রকমের স্প্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ আর কার্যকরী উপায় হল নিমের তেলের ব্যবহার। প্রতিদিন শরীরে নিমের তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মশা থেকে দূরে রাখবে এবং তার সাথে সাথে ত্বকও সুস্থ এবং ভালো রাখবে।

Wednesday, July 20, 2016

ছারপোকা দূর করার কার্যকরী উপায়


মূলত বিছানা, বালিশ বা সোফা এইসকল জিনিসে ছারপোকার উপদ্রব অনেক বেশি হয়ে থাকে। ছারপোকার কামড়ে জ্বালাপোড়া, ব্যথা এবং অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়ে যায় যা মারাত্মক আঁকার ধারণ করতে পারে। তাই বিছানাপত্র থেকে ছারপোকার উপদ্রব যতোটা সম্ভব দূর করে ফেলা উচিত।


ছারপোকা সাধারণত রাতেই অধিক সক্রিয় থাকে এবং মানুষের অগোচরে রক্ত চুষে নেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কি করে মুক্তি পাবেন বিরক্তিকর ছারপোকার সমস্যা থেকে-

১. আসবাবাপত্র ও লেপ তোশক পরিষ্কার রাখার সাথে সাথে নিয়মিত রোদে দিন। এতে করে ছারপোকার আক্রমণ কমে যাওয়ার সাথে সাথে ছারপোকা থাকলে সেগুলোও মারা যাবে।

২. ছারপোকার হাত থেরে রেহাই পেতে আপনার বিছানা দেয়াল থেকে দূরে স্থাপন করুন। শোবার আগে ও পরে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে ফেলুন সাথে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন।

৩. ঘরের যে স্থানে ছারপোকার বাস সেখানে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করুন। দুই থেকে তিনদিন এভাবে স্প্রে করার ফলে ছারপোকা আপনার ঘর ছেড়ে পালাবে।

৪. এক লিটার পানিতে ডিটারজেন্ট যেমন সার্ফ এক্সেল ঘন করে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এ উপায়ে স্প্রে করার ফলে ছারপোকা সহজেই মারা যাবে।

৫. বিছানাসহ অন্যান্য জায়গা থেকে ছারপোকা তাড়াতে সারা ঘরে ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন। ভ্যাকুয়াম করার সময় খেয়াল রাখুন যাতে ঘরের মেঝেও বাদ না পড়ে। এতে করে আপনার ঘরে ছারপোকার আক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।

৬. আপনার ঘরের ছারপোকা তাড়াতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে পারেন। ছারপোকা প্রবণ জায়গায় সামান্য অ্যালকোহল স্প্রে করে দিন দেখবেন ছারপোকা মরে যাবে।

৭. ছারপোকা মোটামুটি ১১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে মারা যায়। ঘরে ছারপোকার আধিক্য বেশী হলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা ও ঘরের ছারপোকা আক্রান্ত জায়গাগুলোর কাপড় বেশী তাপে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। ছারপোকা এতে মারা যাবে।

৮. দোকান থেকে পোকামাকড় মারার ঔষধ কিনে ঘরে রাখুন। এবং সন্দেহজনক স্থানে কিছুটা স্প্রে করে দিন। তবে সাবধান থাকবেন পোকা মারার ঔষধের ক্ষেত্রে। মানুষের সংস্পর্শে না আসাই ভাল।

Monday, July 11, 2016

ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখেও স্বাদ অটুট রাখার পদ্ধতি!

যারা মাসের বাজার একবারে করেন তাদের অনেক সময়ই ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখতে হয়। যার ফলাফল কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান।
আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। জানতে চান কীভাবে?
মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন।
দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারেই। দারুণ, তাই না?

চিরতরে মেছতার দাগ দূর করার ২টি সহজ উপায়।

বকের যে সম্যসাগুলো সবচেয়ে মারাত্নক এবং বিরক্তিকর তার মধ্যে মেছতা অন্যতম। মুখে কালো বা বাদামী রঙের যে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে তাকে মেছতা বলা হয়। প্রায় সব বয়সী নারীদের ত্বকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘরোয়াভাবে কিছু প্যাক ব্যবহার করলে এই দাগ দূর করা সম্ভব।

মেছতার কারণ –

১। মেছতার প্রধান এবং মূল কারন হল সূর্যের আলো। কোন প্রতিরক্ষা ছাড়াই অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে গেলে এটি হতে পারে।
২। জন্ম নিয়ন্ত্রের পিল খেলে
৩। থাইরয়েড সমস্যা
৪। হরমোনের তারতম্য
৫। বংশগত কারণে
৬। ত্বক নিয়মিত ভালভাবে পরিষ্কার না করলে
৭। অতিরিক্ত চিন্তা, কাজের চাপ, কম ঘুম ইত্যাদি।
এই সকল কারণে সাধারণত মেছতা হয়ে থাকে। এছাড়া আরোও অনেক কারণে মেছতা হতে পারে। স্কিন ট্রিটমেন্ট, ক্রিম ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই দাগ দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেছতা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী ২টি প্যাকের কথা।

১। লেবুর রস –

লেবুর রসে আছে ত্বক ব্লিচিং করার উপাদান যা ত্বকের যে কোনো প্রকার দাগ দূর করে থাকে। এছাড়া লেবুর রস ব্যবহারে ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠে।
  • ত্বকে কালো বা খয়েরী দাগে আক্রান্ত জায়গায় লেবুর রস দিয়ে দিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করুন। ২ মাসের মধ্যে আপনি পার্থক্য দেখতে পারবেন। সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা সরাসরি লেবু ব্যবহার না করে সাথে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • আরেকভাবে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্টটি ত্বকে না মিলে যাওয়া পর্যন্ত ঘষুন। বিশেষ করে ত্বকের খয়েরী দাগের জায়গাগুলোতে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। ৫-১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে কয়েকবার করুন। আপনি চাইলে এতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

২। চন্দন –

চন্দনে অ্যান্টি এইজিং এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে যা ত্বকের হাইপারপিগমেনশন কমিয়ে মেছতার দাগ দূর করে থাকে।
  • ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, এবং লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি কালো বা খয়েরী দাগের ওপর লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার এটি করুন।
  • ১ টেবিল চামচ কমলার রস, ১ চা চামচ লেবুর রস, ভিটামিন ই, ২ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। ভাল করে এই প্যাকটি মুখে লাগান। আধা ঘন্টার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন। আর দেখুন পার্থক্য।
  • প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চন্দন পাউডার, অলিভ অয়েল, বাদাম অয়েল মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন।

Friday, July 8, 2016

বেকার সমস্যার সমাধান

আপনি জানেন কি আধুনিক পদ্ধতিতে ১০০টি ব্লেক বেঙ্গল / দেশীয় ছাগল পালন করে
১ বৎসরে ২৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব ।
মোবাইল - 01990198469, বিস্তারিত পদ্ধতি নিচে।
নুতন উদ্যোক্তাদের জন্য আমাদের ফামর্ে এক মাস মেয়াদি ফ্রি ট্রেনিংয়ের ও ফ্রি থাকার ব্যাবস্থা আছে।

ট্রেনিংয়ের জন্য যোগ্যতা কি?
১) বাংলা পড়তে ও লিখতে জানতে হবে ।
২) ইন্টারনেটের ব্যবহার জানলে বেশী ভালো হয়।
৩) নিজ হাতে ১০০ ছাগলকে খাবার দেওয়া , ও পরিচযর্ায় করতে হবে, তখনি আপনি জেনে যাবেন আপনি পরবেন কি পারবেন না।
ফামর্ শুরু করতে যা যা লাগবে ।
৪) ঘর তৈরির জন্য ২ শতাংশ বা ৩ কাঠা জায়গা।
৫) হাইবি্রড ঘাস / নেপিয়ার ঘাস উৎপাদনের জন্য ৩০ শতাংশ বা ১ বিঘা জমি।
৬) আধুনিক ছাগল পালন পদ্ধতি সমন্ধে বাস্তব জ্ঞান বা হাতে কলমে ট্রেনিং।
ফোন - ০০65 8328 0194
Viver - 0065 8328 0194
WhatsApp - 006583280194
Imo -006583280194
৪ লাখ ৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যাবার কথা ভাবছেন ?
আপনার বন্দু বান্ধব বা আত্তীয় যারা বিদেশে আছে তাঁদের কাছথেকে সত্যিকথাটি জেনেনিন তারা বাৎসরিক কি পরিমান আয় করছেন , আর দিন রাত কি পারিমান অমানসিক পরিশ্রম তারা করছেন। প্রয়োজনে আমাদের আইডিয়াটা তাঁদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাঁদের মতামত নিন।
আপনারা যারা টাকা নিয়ে বসে আছেন ব্যবসা করার জন্য, কি ব্যাবসা করবেন খুজে পাচ্ছেন না , লাভ লোকসানের হিসেব মিলছে না তারা দয়াকরে একটু পড়ে দেখবেন।
প্রথমে অন্য ফামর্ হতে ১০০ দেশীয় জাতের প্রাপ্ত বয়স্ক ব্লেক বেঙ্গল (পিউর ব্রীড/ অরিজনাল জাতের )
ডো/ মহিলা/পাঠি ছাগল সংগ্রহ করতে হবে। যাতে আপনার ফামর্ে আনার কিছু দিনের মধ্যে গভর্বতী হতে শুরু করে।
ফামর্ হতে সংগ্রহ করলে দাম একটু বেশী হবে , কিন্তু সুস্থ সবল টিকা দেওয়া ও একই বয়সী পাবেন।
অন্য ফামর্ের দাম আমাদের জানা নেই,
আমাদের ফামর্ে প্রতি পিছ -৩৫০০ টাকা ।
সবর্ নিন্ম অডর্ার ২০ পিছ, কোন ডেলীভারী দেওয়া হয় না , আসার সময় পিকআপ নিয়ে অসতে হবে ।
ট্রেনিংয়ের করার পর ইচ্ছে করলে আপনি নিজে এলাকার বাজার হতে সঠিক জাত চিনে সুস্থ সবল দেখে ছাগল কিনতে পারেন , তাঁতে কিছুটা দাম কম লাগবে ।
কিন্তু মনে রাখবেন , অসুস্থ না হলে বা খুব বেশী টাকার প্রোয়োজন না হলে সাধারানত বাজারে কোন ব্যক্তি ডো/ মহিলা/পাঠি বিক্রী করে না । সেই ক্ষেত্রে বাজার হতে খুব সতকর্ার সাথে কিনতে হবে ।
আর এদেরকে প্রজনন করার জন্য ১টি উন্নত জাতের পাঠা /বাক সংগ্রহ করতে হবে।
ছাগল বৎসরে ২ বার ২টি করে বাচ্চা দেয় তা হলে ১০০ ছাগল এক বৎসরে ৪০০ টি বাচ্চা দিবে, উন্নত জাতের পাঠা দিয়ে প্রজনন করানো হলে ৫-৬ মাস বয়সে বাচ্চা গুলো ২০-২২ কেজী হবে।
২০ কেজী ওজনের ছাগল হতে ১৪ কেজী মাংস
হবে, ৫০০ টাকা কেজী হিসেবে ১৪ কেজী মাংসের দাম ৭০০০ টাকা ।
তাহলে ৪০০ বাচ্চা ৭০০০ টাকা হিসেবে ৪০০x৭০০0=2৮00000 (2৮ লক্ষ টাকা) বিক্রি হবে।
এ বার আসি খরচ এ , একজন কর্মচারি মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে ১২০হাজার টাকা, ঔষধ ৩০ হাজার টাকা, ফামর্ের উন্নয়ন খরচ ১৫০ হাজার টাকা
টোটাল খরচ = ৩ লক্ষ টাকা
মোট মুনাফা ২৮-৩=২৫ লক্ষ টাকা ।
আর একটি কথা মনে করিয়ে দেই , আপনি মূলধন হিসেবে যে ছোট ছাগল গুলো কিনছিলেন সে গুলো ছোট হতে বড় হওয়াতে মূলধনের পরিমাণ ও বেড়েছে।
যেভাবে করবেন ।
১) প্রথমে ৩০ শতাংশ জমিতে নেপিয়ার চাষ শুরু করবেন। সঠিক পরিচযর্ায় নেপিয়ার ৪০-৪৫ দিনে পূনাঙ্গ হবে।
২) একই সময়ে আপনাকে ১০ কক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক ঘর তৈরি করতে হবে, ঘর তেরীতে যা লাগবে, ১হাজার ইট, ২০ টি নেট, ১৮ টি সিমেন্টের খুঁটি, গ্রীল বা বাঁশ আর প্রয়োজনীয় টিন।
৩) দেশীয় জাতের ছাগল ১০০টি ।
৪) একটি উন্নত জাতের পাঠা/ বাক ।
এখন চিন্তা করছেন সবই তো বোঝলাম, তার পর আমি করলে যদি না হয় ভাই?
বা
আপনার আইডিয়াটা ভাল আমার পছন্দ হয়েছে , কিন্তু করতে যে টাকা লাগবে তা তো নাই।
উপরের এই ২ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা হেল্প করি।
তা হলে আপনি নিজে চলে আসুন আমাদের ফামর্ে, নিজে কিছু ছাগল কিনে শুরু করে দিন আমাদের সাথে , আমাদের ঘর, আমাদের ঘাস , আমাদের পাঠা সবই ব্যাবহার করতে পারবে, শুধু মাএ আপনার ডো/ মহিলা/পাঠি ছাগল গুলো আমাদের পদ্ধতিতে পালন করতে হবে , কিছু দিন পর আপনি যখন কনফিডেন্ট হয়ে যাবেন , আপনার বাড়িতে শুরু করে দিন আধুনিক ফামর্ ।
এখন তো সব ই বোঝলাম , বলেন তো ভাই আপনার মূল উদ্দেস্য টা কি , বাংঙ্গালী তো লাভের ব্যাবসা কারো সাথে শেয়ার করে না ।
মূল উদ্দেশ্য তে যাওয়ার আগে আপনার পালন করা ছাগল কোথায় বিক্রি করব তা জেনে নেই।
সরকারি হিসাব আনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংক্ষ্যা কম বেশী ১৬ কোটি।
প্রতিপরিবারে জনসংক্ষ্যা ৪-১০ জন।
আমরা যদি ১০ জন হিসেবে প্রতিটিপরিবার হিসাব করি তা হলে দেশে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ পরিবার আছে।
১০ জনের প্রতিটিপরিবার যদি মাসে ১ কেজী করে খায় , তাহলে প্রতি মাসে বাজারের চাহিদা ১ কোটি ৬০ লক্ষ কেজী । বিয়ে, বৌভাত, সুন্নতে খৎনা , সামাজিক অনুষ্ঠান হোটেলের হিসাব না ই করলাম,
১যদি ও বাস্তবে ১ কেজীতে মাংসতে ১০ জন লোকের এক বেলা ও হবে না।
তাহলে প্রতিটি ছাগল হতে যদি ১৪ কেজি মাংস হয় ১ কোটি ৬০লাখ পরিবারের জন্য মাসিক চাহিদা = ১১ লক্ষ ৪২ হাজার ছাগল ।
তাহলে বাৎসরিক চহিদা ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ছাগল ।
প্রতিটি ফামর্ যদি বৎসরে ৪০০ করে ছাগল উৎপাদন করে ,বৎসরিক ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ছাগল উৎপাদন করতে ৩৪ হাজার ২৫০ টি ফামর্ প্রয়োজন।
মূল উদ্দেস্য হল :
১) নুতন একটি শিল্প তৈরি করা ।
২) ৩৪ হাজার মালিক + ৩৪ হাজার কমর্চারী = ৬৮ হাজার লোকের কমর্সংস্থান তৈরি করা ।
আনেকে হয়ত ৬৮ হাজারের হিসাব কোথায় পেলাম চিন্তা করছেন সেটা উপরে আছে ।
৩) আর আমদের নিজে কিছু ইনকাম করা । তা ও বলেদিচ্ছি কি ভাবে , আপনার যদি ফামর্ থকে, নিশ্চই বৎসরে ২/৩বার বিক্রি করবেন, ১০০ ছাগল বজরে নিতে কম পক্ষে ১০০০ টাকা খরচ হবে, আর আপনি যদি আমাদের সাথে যুক্ত থাকেন , আর আমরা যদি আপনার ছাগল বড়িতে রেখে বিক্রি করে দিতে পারি , আর আপনার বাজারে নেওয়ার খরচ টা আমি চাই , মনে হয় বেশী অন্যায় হবে না।
তা হলে আমাদের বাৎসরিক আয় হবে ৩৮০০০x১০০০ =৩,৮০,০০০০০ মোট ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ।
আমাদের ফামর্ সমন্ধে জানতে চান
www.facebook.com/boergoats.bd