Monday, July 27, 2015

মোটরসাইকেল এর জ্বালানী সাশ্রয়ের ১০টি কৌশল

আপনি যে রাস্তায় বাইক চালান এবংআপনার বাইকের অবস্থা এ দুটি বিষয়ের আপনার জ্বালানী ব্যবহারের
পরিমাণের উপর প্রভাব রয়েছে।এখানে জ্বালানী সাশ্রয়ের ১০ টি উপায় ( 10 Tips For Fuel Efficiency) রয়েছে যেগুলো আপনাকে জ্বালানী এবং অর্থ দুটোই বাঁচাতে সাহায্য করবে ।
এটা আপনাকে পৃথিবীকে বাঁচাতেওসাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে পরিবেশকেও সাহায্য করবে। বাইক চালানো একটি সখ যা মানুষ
লালন করে আসছে তখন থেকে যখনথেকে প্যাডেলযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থাপ্রবর্তিত হয়েছে । যেহেতু এটা জৈব জ্বালানী দ্বারা চলে, এটি প্রচুর দূষণ
সৃষ্টি করে। তাই পরিবেশ পরিস্কাররাখা এবং একটি জ্বালানী সাশ্রয়ী ও ভালো বাইকের জন্য নিন্মের ধাপগুলো অনুসারান করুন ।

১.আপনার বাইকের ব্যবহার সীমিত করুনঃ
যানবাহন যাত্রার শুরুতে এবং স্বল্পদূরত্বের যাত্রায় বেশী জ্বালানী খরচ করে এবং দূষণ ঘটায় । এর একটি কারণহতে পারে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার ( অনুঘটক রুপান্তরক)সঠিকভাবে কাজ করছে না । সাধারণত পাঁচ কিলোমিটারের কম দূরত্বেইঞ্জিন এদের সর্বোচ্চ পরিচালন তাপমাত্রায় পৌঁছাতে দেয় না ।অনেকগুলো ভ্রমণের পরিবর্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণগুলোর জন্য একটিপরিকল্পনা করুন যাতে সেগুলো এক ভ্রমণে করা যায় এবং সময় ও জ্বালানীউভয়ই বাচানো যায় । হাটা বা সাইকেলের সাহায্যে কাছের ভ্রমণগুলো সম্পন্ন করুন । এটা প্রতি কিলোমিটারে গ্রিন হাউস গ্যাসেরনিঃসরণ প্রতি কেজিতে চার ভাগের এক কমাবে সাথে সাথেআপনাকে স্বাস্থ্যকর ব্যায়ামও দেবে ।

২. সঠিক গিয়ারে বাইক চালানঃ
আপানার প্রয়োজনের চেয়ে নীচের গিয়ারে বাইক চালালে জ্বালানীর অপচয় হয় এবং কোনায় কিংবাপাহাড়ে উঠার সময় ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলেও জ্বালানীর অপচয়হয় । যখন বাইক উপরে গিয়ারের জন্য প্রস্তুত হবে যত দ্রুত সম্ভব গিয়ার উপরেতুলুন কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী গতি বৃদ্ধি করে নয় ।

৩. শান্তভাবে বাইকচালানঃ
থামা/চলা এভাবে বাইক চালালে বাইক কম জ্বালানী সাশ্রয়ী ও দূষণীয় হয় । ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণ পরিহার করুন এবংজ্যাম যুক্ত রাস্তা যখন সম্ভব পরিহার করুন ।

৪. ধীরে ধীরে গতিবাড়ানঃ
ইঞ্জিনের বেশী ঘূর্ণন মানেই বেশীপেট্রলের ব্যবহার । আপনার সামনের গাড়ির চেয়ে নিরাপদ দূরত্বে চালানএতে আপনি যানজটের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারবেন ।এটা অপ্রয়োজনীয় গতি বৃদ্ধি এবং যত্রতত্র ব্রেক করা কমাবে যেটা জ্বালানীর অপচয় কমাবে । এটা আপনাকে নিরাপদও রাখবে ।

৫.বুদ্ধিমত্তার সাথে জ্বালানীর অপচয়রোধ করুনঃ
যদি আপনার ইঞ্জিন বন্ধ করা সম্ভব হয়তাহলে এক বা দুই মিনিটের কেনাকাটার সময় ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন ।আধুনিক বাইকসমূহ কার্যত কোন জ্বালানীর অপচয় করে না তাই ফিরেএসে ইঞ্জিন চালু করলে আপনার জ্বালানীর বেশী অপচয় হবে না ।

৬.গতি কমিয়ে সাস্রয় করুনঃ
যখন সম্ভব অতিরিক্ত গতি পরিহার করুন ।৮৫ মাইল বেগে বাইক চালালে সেটি ২৫% বেশী জ্বালানী খরচ করে যখনআপনি ৭০ মাইল বেগে বাইক চালাবেন ।

৭.নিয়মিত টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুনঃ
প্রতি মাসে অন্তত একবার এবং দীর্ঘভ্রমণের পূর্বে টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুন । কম চাপের টায়ার শুধুমাত্রবিপদজনক নয় এটা আপনার জ্বালানীর ব্যবহারও বাড়াবে । যখন টায়ারেরচাপ পরীক্ষা করা হবে তখন এর ফোলা অংশের গভীরতাও মাপা উচিত এটাজানার জন্য যে এগুলো আইনত উপযোগী।

৮.কম ওজন নিয়ে ভ্রমণ করুনঃ
বাইক যত বেশী ওজন বহন করবে তত বেশীজ্বালানী ব্যবহার করবে । আপনার বাইককে গাড়ির মতো ব্যবহার করবেননা এবং দুই জনের বেশী যাত্রী বহন করবেন না ।

৯. আপনার বাইককে ভালভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করুনঃ
আপনার বাইককে ভালোভাবে ওনিয়মিত রক্ষনাবেক্ষণ করুন । উৎপাদকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সার্ভিসিং করান ।

১০.গণপরিবহন ব্যবহার করুনঃ
 একা বাইক চালানোর পরিবর্তেসাইকেল বা বাসে চড়ুন । কাজে যাওয়ার সময় আপনার বাইক আপনার বন্ধুবা অন্য কারো সাথে শেয়ার করুন ,এতে পেট্রলের খরচ দ্বিগুণ কমে যাবে । এটা হল অনেকগুলো ভালো উপায়ের একটি যা দুজনেরই তেল খরচ কমাবে এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক তেলের নিঃসরণ কমাবে। একটি পরিস্কার স্পার্ক প্লাগ ও অয়েল ফিল্টারের মাধ্যমে আপনি নিজেই তেলের খরচ ২০% কমিয়ে ফেলতে পারেন । অন্যদিকে চালকের জন্য সরবরাহকৃত
ম্যানুয়ালটি পড়লে আপনি সর্বাধিক মাইলেজের উপায় খুঁজে পাবেন । তাই আপনার জ্বালানী খরচ কমানোর জন্য এটা হল মোটরসাইকেল জ্বালানী সাশ্রয়ী করার ১০টি কৌশল।

No comments:

Post a Comment