Wednesday, March 20, 2019

লেবুর রসের ভিন্ন ব্যবহার

শাক, ডাল কিংবা উপাদেয় ঝোল দিয়ে গরম ভাত খাচ্ছেন, একটুখানি লেবুর রস দিন, স্বাদটা বহু গুণ বেড়ে যাবে। শরীর চাঙা করতে লেবুর শরবতের জুড়ি নেই। লেবুর রসের নানা গুণ। এর মধ্যে আছে জীবাণু ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। লেবুর রস শুধু রসনা মেটাতেই কাজ দেয় না; দৈনন্দিন জীবনে লেবুর রস লাগে নানা কাজে:

থালাবাসন পরিষ্কারে
তেলচিটচিটে বাসনপত্র পরিষ্কারে যাঁরা গলদঘর্ম হন, লেবুর রস তাঁদের জন্য বেশ উপকারী। বাসন চকচকে রাখতে পারে লেবু। তামার বাসন চকচকে করতে লেবু দারুণ কার্যকর। বাসনে রাতে লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেললেই বাসনপত্র চকচক করবে।

চপিং বোর্ড পরিষ্কারে
শাকসবজি কাটার পর কাটার বোর্ড বা চপিং বোর্ড সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। বোর্ডের ওপরে লেবুর রস ছড়িয়ে একটা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে বোর্ডে লেগে থাকা দাগ যতটা সম্ভব তুলে ফেলুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চপিং বোর্ড থাকবে জীবাণুমুক্ত।

ভাত ঝরঝরে করতে
চাল সেদ্ধ হওয়ার আগে ফুটন্ত জলে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিলে ভাত হবে ঝরঝরে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েক টুকরো লেবু ফ্রিজের ভেতরে রেখে দিন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হবে।

হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাতে দুর্গন্ধ হয়। এই গন্ধ সহজে যেতে চায় না। এই দুর্গন্ধ সহজেই কাটাতে পারে লেবু। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে দুর্গন্ধ থাকবে না।

মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কারে
মাইক্রোওয়েভের ভেতরের চটচটে ভাব কাটাতে ব্যবহার করা যায় লেবু। দুই কাপ পানিতে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মেশিয়ে একটি পাত্রে করে মাইক্রোওয়েভের ভেতরে রেখে তা কিছুক্ষণ চালাতে পারেন। পরে মাইক্রোওয়েভের ভেতরের দেয়াল একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

পোশাকের দাগ দূর করতে
পোশাকে কখনো জটিল কোনো দাগ পড়লে লেবুর রস তা মুছে ফেলতে কাজ দেয়।

হেলথ টিপস

অসাধারন কিছু টিপসঃ
১। চুলকানি জাতীয় চর্মরোগে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে লাগালে ভাল হবে।
২। রক্ত আমাশয়ে ডুমুর গাছের শিকড়ের রস দিনে দু'বার খান।
৩। দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে দিন।
৪। দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে জামের বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন।
৫। ফোঁড়া হলে তা অনেক সময় না পেকে শক্ত দলার মত হয়ে যায়। কলমি শাকের কচি ডগা ও শিকড় একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার ওপর প্রলেপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিন। এতে ফোঁড়া পেকে যাবে।
৬। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে চালতা গাছের পাতা ও মূলের ছাল সমপরিমাণ একসঙ্গে বেটে হালকা গরম করে ব্যথার জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৭। ঠোঁটের দু'পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
৮। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভাল হয়।
৯। অনেকের গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ হয়। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গা মুছলে তা কমে।
১০। মাথা ব্যথা হলে কালোজিরা একটা পুটলির মধ্যে বেঁধে শুকতে থাকুন; ব্যথা সেরে যাবে।
১১। কাশি হলে দুই টুকরো দারুচিনি, একটি এলাচি, ২টি তেজপাতা, ২টি লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন; হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে কাশি ভাল হবে।
১২। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়।
১৩। দই খুব ভাল এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে৷ এসিডিটির সমস্যা শুরু হওয়া মাত্র তা কয়েক চামচ খেয়ে নিন।
১৪। গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন; কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
১৫। ছুরি/দা/বটিতে হাত কেটে গেলে এক টুকরা সাদা কাগজ কাটা জায়গায় লাগান। রক্ত বন্ধ হবে।
১৬। শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৭। জিভে বা মুখে সাদা ঘা হলে পানির সঙ্গে কর্পূর গুলে দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন।
১৮। ঘুম ভাল হওয়ার জন্য ডালিমের রসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে খেতে পারেন।

Sunday, March 17, 2019

সম্পদের মূল্যায়নে শ্রেস্ট ধনী ও তার ছেলে

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!
ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মাস্তির লাইফ কাটছিল।
বন্ধুদের মধ্যে আমার লিডার লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে। আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু গরীব তাদের খরচ আমাকে বহন করতে হবে।
আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা সামনে আমার জন্মদিনতো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ বাবা। হুম!!!
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেলনা??? এর মধ্যে মা চলে আসছে। কি হয়েছে?? আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কষ্ট দিওনা।আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?
শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দা‌য়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে ২০০ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র ২০০ টাকা লুল, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়েছি।
পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র ২০০ টাকার জন্য এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে ২০০ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই। কার কাছে থেকে ধার করতে পারছি না, কারো সাহায্য নিতে পারছিনা। ভিক্ষাও করতে পারবো না। ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেল। অবশেষে একটা রিক্সার গ্যারেজে গেলাম, মনে মনে ভয়ও পাচ্ছিলাম অনেক মানুষ আছে রিক্সাওলার গায়ে হাত তুলে যদি আমাকে কেউ রিক্সাওয়ালা ভেবে মারে??
তখনি বিবেক আমাকে বুঝিয়ে দিল রিক্সাওয়ালাও আমারি মতো মানুষ। তাদের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। রিক্সার গ্যারেজে গেলাম কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তারা রিক্সা দিবেনা। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো রিক্সা না পেয়েছিতো কি হয়েছে রিক্সা ঠেলতেতো পারবো। আমি আমার বাবার ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা। তখন উচুঁ উচুঁ ব্রিজগুলোকে পেছন থেকে একজনকে রিক্সাওলার সাথে ঠেলে উঠিয়ে দিতো হতো। বিনিময়ে যাত্রীরা ১ টাকা করে দিতো।
জীবনে কোন কাজ করিনি, এক গ্লাস পানিও নিজে ঢেলে খাইনি। আর আজ তপ্ত রোদে রিক্সা ঠেলেছি, এই ভাবে ১ ঘন্টায় ১০ টা রিক্সা ঠেলে ১০ টাকা উপার্জন করেছি, ১১ নাম্বার রিক্সা ঠেলতে গিয়ে পরে হাঁটু ছিলে গেল। আবার উঠে দাড়ালাম। যখন যাত্রী আমার হাতে ১ টাকার একটা কয়েন দিচ্ছিল তখন চোখ দিয়ে কেন যেন কান্না চলে আসলো। ঘন্টা খানেক পর হাঠুর ব্যথা আরো তিব্র হতে লাগলো।
সন্ধ্যা পর্যন্ত গুনে দেখি মাত্র ৪০ টাকা হয়েছে। আর পারছি না। প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে শরীরও যেন নিজের সাথে প্রতারণা করছে, আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ৪০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ৪০ টাকা বাবার হাতে দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, আমি পারিনি বাবা। ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, হাঠুর কাছে ছেঁড়া পেন্ট দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিবে।
না সে এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো এখন আমার সাথে ধানমন্ডি থেকে হেঁটে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে যাবে, কোন প্রশ্ন না।
আমি অবাক হলাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। এরপরেও প্রশ্ন করলাম বাবা হেঁটে কেন। তিনি বললেন বাবা আমিতো আজকের এই পজিশনে এই ভাবে একটু একটু করেই এগিয়ে এসেছি। গাড়ি বা বিমানের গতিতে আসিনি। তুমিতো মাত্র একদিন কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।
বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমার হাত ধরে হাটতে হাটতে রাত তিনটায় আমরা ব্রিজ উঠলাম। শান্ত নদী ব্রিজে আমি আর বাবা। ব্রিজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে বাবা আমাকে বললো দেখ রবিন নিচের কেমন অথৈই পানি টলমল করছে। তুমি আমার হাতে ৪০ টাকা দিয়েছে তাই না!!
জ্বি বাবা, আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। আমি জানি রবিন এই টাকা গুলো উপার্জন করতে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন তোমাকে যা বলি শোন। আমি জানি আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ম্যাথমেটিক্সে খুবই ভাল। তাহলে ভাল গুনতেও পারো আশা করি। এখন আমি তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলবো আর তুমি বলতে থাকবে বাকি কয়টা রইলো।
বাবার কথা শুনে আমার চোঁখে আবার পানি চলে আসলো। বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা কয়েন সেতু থেকে দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলে বললো রবিন এখন কয়টা রইলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম বাবা ৩৯ টা। এই ভাবে এক এক করে আমার চোখের সামনে আমার জীবনের প্রথম উপার্জিত এতো কষ্টের সব গুলো টাকা পানিতে ফেলতে লাগলো আমি এক এক করে গুনছি।
এমন একটি পরিস্থিতির বর্ননা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার চোঁখ থেকে ঝরে পরা প্রতিটি অস্রু যেন কেরোসিনের তেলের মতোই আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। বাবা আমার গায়ে কোন দিন হাত তুলেননি, কোন দিন একটা বকাও দেয়নি, আজ মনে হচ্ছে সব সুদে আসলে পুসিয়ে নিচ্ছে। শেষের টাকাটা বাবা ফেলোনা।
তারপর বললো রবিন তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা আজকে আমি নষ্ট করতে তুমি কাঁদলে আর আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো কোথায় আমিতো একবারও কাঁদিনি। তোমার অনুভুতিতে যেমন কষ্ট লাগেছে আমারও ঠিক তেমনি অনুভূতি আছে কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য। তোমার শেষের টাকা আমি রেখে দিলাম এটা আমার সন্তানের প্রথম উপার্জিত টাকা এটা এক জন পিতার জন্য গর্বের একটা প্রাপ্তি, এটা সৃতি হিসেবে আমি মৃত্যু পর্যন্ত সাথে রাখবো।
তুমি কাল তোমার মায়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে নিও। বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম বাবা আমার টাকা লাগবে না।আমি এতো দিন স্কুলে কলেজে কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।একজন বাবার দেওয়া সেরা উপদেশ :
১) কখনও কাউকে ছোট করে দেখবা না, নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।।
২) জুতো সেলাই করতে গিয়ে পা বাড়িয়ে দিও না, বরং জুতোটা নিজে একবার মুছে দিয়ো।। জুতো কিনতে গেলে নিজের হাতেই জুতো পায়ে দিয়ে ফিটিং দেখো।
৩) কখনও কামলা,কাজের লোক,বুয়া বলে ডেকো না।। মনে রেখো তারাও কারও না কারও ভাই, বোন, মা বাবা। তাদের ভাই আপা বলে ডেকো।
৪) পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো কিন্তু কারও ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫) কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেয়ো না, সে লজ্জা পেতে পারে।।
৬) সবসময় দিতে চেষ্টা করবা।মনে রাখবা প্রদানকারীর হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭) এমন কিছু করো না যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল উঠে।
৮) ছেলে হয়ে জন্মাইছো, দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯) তোমার কি আছে তোমার গায়ে লিখা নেই, কিন্তু তোমার ব্যাবহারে আছে।
১০) কখনও মা কে শুনে বউকে এবং বউকে শুনে মাকে বিচারে কাঠগড়ায় দাড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।।
১১) যখন রাস্তায় হাটবে দেখে হাটবে, কেউ পড়ে গেলো কিনা।।
১২) কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলেও বাসায় এক মুঠো ভাত খেয়ে যাবে। যাতে কারও বাড়ির ভাতের অপেক্ষায় না থাকতে হয়।
১৩) কারও বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না,
কেউ খাবার অস্বাদু করার চেষ্টা করেনা।
১৪) বড়দের মাঝে তোমার চেয়ারটা বরাদ্দ নেই, আছে ছোটদের মাঝে।
১৫) বড় হবার নয়, মানুষ হবার চেষ্টা করবা। তবেই বড় হবা।
১৬) বাইক কখনও জোড়ে চালিও না, তাতে তোমার কলিজার কাপুনি বেড়ে যেতে না পারে, রাস্তার পাশে থাকা মানুষটার কাপুনি বেড়ে যেতে পারে।।