Wednesday, November 19, 2014

হাসির কৌতুক

** চাচা-ভাগ্নে
চাচা হুজুর। কিন্তু তার ভাগ্নেটা একদম নামাজ পড়ে না। চাচা ভাগ্নেকে অনেক বুঝালেন। কিছুতেই কাজ হলোনা। শেষমেষ চাচা ভাগ্নেকে বললেন।
: তুই এখন থেকে নামাজ পড়লে তোকে ৫টাকা করে দেব।
ভাগ্নেতো কথা শুনে মহা খুশি। সে খুশিমনে নামাজ পড়তে গেল। নামাজ পড়ে এসে চাচাকে বললো,
: চাচা, নামাজ পড়ে এসেছি। এবার টাকা দাও।
: কিসের টাকা? তু্ই নামাজ পড়ছিস নেকী পাইছিস। তোকে আবার টাকা দেব কেন?
: চাচা, আমি জানতাম তুমি এইরকম করবা। আমিও কম যাইনা। আমি নামাজ ঠিক-ই পড়ছি। কিন্তু ওজু করিনাই।

** হেডফোন

বিমান চলছে। এক পেসেঞ্জার হঠাৎ করে হুরমুর করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!"

** মুলার ক্ষেত

করিমমিয়ার মুলার ক্ষেত। পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষিবিশেষজ্ঞের কাছে।
করিমমিয়াঃ ডাক্তারসাব, আমার মুলার ক্ষেততো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কি করি?
কৃষিবিশেষজ্ঞঃ আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে নুন ছিটিয়ে দিন।
করিমমিয়াঃ আহা! কি পরামর্শ? নুনছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলেতো কথাই নেই।


** কৌতুক : (০১) সাঁতার
এক যুবক নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ আপনি কি সাঁতার জানেন?
উত্তরদাতাঃ সাঁতার শেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি, স্যার।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে কি ভেবে আপনি নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন?
উত্তরদাতাঃ মাফ করবেন, স্যার; তাহলে কি আমি মনে করব যে বিমানবাহিনীর আবেদনকারীরা উড়তে শেখার পর আসে।


**কৌতুক : (০২) গরু
লোক- এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইছো, কিভাবে বুঝবো যে তুমি কানা?
ভিক্ষুক- এই যে দূরে একটা গরু দেখতাছেন, ওইটা আমি দেখতাছি না।

**কৌতুক : (০৩) অপেক্ষা
ডাক্তার : আপনার কি হয়েছে?
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান! আমি মনে হয় ১০মিনিটের মধ্যে মারা যাবো।
ডাক্তার : একটু অপেক্ষা করুন, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসছি।

**কৌতুক : (০৪) ডাক্তার ও রোগী
রোগী : ডাক্তার সাহেব, আমার খুব খারাপ লাগছে। মনে হয় আমি মরে যাবো।
ডাক্তার : কোন চিন্তা করবেন না। ওটা আমার উপর ছেড়ে দিন।

**কৌতুক : (০৫) দাঁত তোলা
এক দাঁতের রোগী ডাক্তারের সঙ্গে ভিজিট নিয়ে তর্ক করছে।
রোগী : একটা দাঁত তোলার জন্য তিনশ টাকা! এটা তো এক মিনিটের কাজ।
ডাক্তার : আপনি চাইলে আমি আরো কম সময় নিয়ে তুলে দিতে পারি।


কৌতুক - ১৬ : বাঘ
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা
.
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস , তুই-ই দৌড়ে পালা !!

কৌতুক - ১৫ : রাগ
একদিন ছেলে বসে পড়ছিল তখন বাবা ছেলের পাসে বসল-
বাবা: তুই সারাদিন এমন চুপ চাপ থাকিস কেন?
ছেলে: কেন বাবা আমিতো কথা বলি।
বাবা: তোকে অযথা এত বকাঝকা করি অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।
ছেলে: কেন বাবা, আমিতো প্রতিবাদ করি।
বাবা: কই করিস? আমি যে দেখি না।
ছেলে: কেন বাবা তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।
বাবা: টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কি করিস যে রাগ কমে?
ছেলে: টয়লেট ব্রাশ করি।
বাবা: টয়লেট ব্রাশ করলে কি রাগ কমে?
ছেলে: কেন আমি তোমার ব্রাশ (দাঁতের) দিয়ে টয়লেট ব্রাশ করি।

 

কৌতুক - ১৪ : উপদেশ

একটা ঝাঁটা হাতে নিয়ে মুমূর্ষু বাবা ডাকলেন তাঁর ছেলেদের।
একটি ঝাঁটার কাঠি নিয়ে তা ভেঙে ফেললেন। এটা দেখিয়ে তিনি ছেলেদের বললেন, "দেখলি তো, একটা কাঠি সহজেই ভেঙে যায়।"
এরপর দশটি কাঠি হাতে নিয়ে ছেলেদের সেদিকে তাকাতে বললেন।
একটু চেষ্টা করতেই ১০টি কাঠিই ভেঙে গেল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাবা বললেন, "দুর! ভেবেছিলাম, খুব ভালো একটা উপদেশ দেব তোদের! হলো না!"

কৌতুক - ১৩ : ফ্যামিলি প্রব্লেম

এক বাংলাদেশী আর এক আমেরিকান বারে বসে একটার পর একটা মাল খেয়ে যাচ্ছে আর গল্প করছে। বাংলাদেশী বলল, জানিস আমার বাবা-মা আমার জন্যে গ্রামের একটা মেয়েকে ঠিক করেছে। একে বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আমি কখনও তাকে দেখিনি। আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাইনা যাকে আমি ভালবাসি না। আমি খোলাখুলি তাদের এসব বলে দিয়েছি, এখন ভয়াবহ ফ্যামিলি প্রব্লেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

আমেরিকান বলল, লাভ ম্যারেজের কথা বলছ। আমার গল্প বলছি, আমি এক বিধবাকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি এবং তিনবছর ডেট করেছি তার সাথে। কয়েকবছর পরে আমার বাবা আমার স্টেপ-ডটারের প্রেমে পড়ে, তাই আমার বাবা হল আমার সন-ইন-ল, আমি হলাম আমার বাবার শ্বসুর। আমার মেয়ে হল আমার মা, বউ দাদী।

সমস্যা আরও বাড়ল যখন আমার একটা ছেলে হল। আমার ছেলে হল আমার বাবার ভাই তাই আমার চাচা। আরও গুরুতর হল যখন আমার বাবার আরেকটি ছেলে হল। এখন আমার বাবার ছেলে মানে আমার ভাই হল গিয়ে আমার নাতি।

শেষ পর্যন্ত আমি নিজে আমার দাদা এবং নিজের নাতি হলাম। আর তুমি বলতেছ ফ্যামিলি প্রবলেম !!


**কিশোরের আম্মা কিশোরকে ডাকছে।
আম্মাঃ কিশোর, ওঠো
কিশোরঃ না আম্মা, আমি উঠবো না।
আম্মাঃ কিশোর, স্কুলে যাবে না?
কিশোরঃ না, আমি স্কুলে যাব না।
আম্মাঃ সেকি কথা!
কিশোরঃ জানো, স্কুলের কেউ আমাকে পছন্দ করেনা। ছাত্র শিক্ষক থেকে শুরু করে কেরাণী পর্যর্ন্ত কেউ আমাকে পছন্দ করে না।
আম্মঃ কিশোর, তোমাকে স্কুলে যেতেই হবে। তুমিই তো স্কুলের হেডমাস্টার।

**(হায়ার ম্যাথ পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর বাবা ও ছেলের কথোপকথন।)
বাবাঃ বাবা হায়ারম্যাথে কতো পাইলা???
ছেলেঃ বাবা, শূণ্য পাইছি।
বাবাঃ আর তুমি যে একটা মাইয়ার লগে কথা কও। ও কতো পাইছে?
ছেলেঃ বাবা, ওতো আমার থিকা সবসময়-ই একশো গুণ ভাল করে। হায়ার ম্যাথেও একশো গুণ নাম্বার পাইছে।
বাবাঃ মানে?
ছেলেঃ মানে সেও ডাবলজিরো!!!!!!

**টিস্যু পেপার ও সিরিস কাগজ
এক দোকানদার তার কর্মচারীকে বলছে, "কোন ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবি না। যেমন কেউ ডেটল সাবান নিতে আসলে না থাকলে স্যাভলন সাবান ধরিয়ে দিবি" একথা বলে সে একটা কাজে গেল।
এরপর এক বয়স্ক ক্রেতা দোকানে এসে কর্মচারীকে বলল, "বাবু, টয়লেট টিসু্ আছে।"
ছেলেটি বলল, "টয়লেট টিসু নাই। তবে সিরিস কাগজ আছে। আইজকা সেইটা দিয়া কাজ চালান। কাইলকা টিসু পেপার পাইবেন।"

**বিচারক ও আসামী

বিচারক ও আসামীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।
বিচারকঃ তুমি জান মিথ্যে বললে কী হবে?
আসামীঃ আজ্ঞে হুজুর, নরকে যাব।
বিচারকঃ সাবাস! আর সত্য বললে?
আসামীঃ মামলায় হেরে যাব।

**সাধুবাবা

সাধুবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গেছেন স্নানের জন্য। উদ্দেশ্য পাপ ধুয়ে ফেলা। গোসল শেষ করে সবাই উঠলো কিন্তু সাধুবাবার ওঠার কোন নাম নেই।
তা দেখে একজন বলল, "কি সাধুবাবা, আপনি উঠছেন না কেন?"
সাধুবাবা উত্তরে বললেন, "বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে গামছাটাও যে ধুয়ে চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি।"


*রাইতে শিডিউল
একবার গ্রামের দুই জন অশিক্ষিত লোক মহাকাশ ভ্রমন নিয়া কথা বলছে।
১ম জন: আম্রিকানরা চান্দে গেছে।
২য় জন: তো কী হইসে? আমরা সুর্যে যামু ।
১ম জন: সম্ভব না । সুর্যের ১৩ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আইলে রকেট গইলা যাইবো।
২য় জন (মাথা চুলকায়া): ঠিক আছে । রাইতে শিডিউল ফেললে রকেটের কিছু হইবো না।

*মৌমাছি কামড় দিয়েছে

রোগী ডাক্তার সাহেব, আমাকে মৌমাছি কামড় দিয়েছে। খুব ব্যথা হচ্ছে। কিছু একটা করুন।
ডাক্তার
ভয় পাবেন না। চিন্তার কিছু নেই। আমি একটা মলম লাগিয়ে দিচ্ছি।
রোগী
কিন্তু মলম লাগাবেন কীভাবে? মৌমাছি তো এতক্ষণে অনেক দূরে চলে গেছে!
ডাক্তার
মৌমাছির ওপর না। মলম লাগাব যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে।
রোগী
আচ্ছা, তাহলে আপনাকে আমার বাগানে যেতে হবে, আমগাছের নিচে। মৌমাছিটি সেখানে বসেই কামড়টা দিয়েছে!
ডাক্তার
ওরে বোকা! আমি তোমার শরীরের যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে লাগাব।
রোগী
ও! আঙ্গুল, আঙ্গুল! কামড় দিয়েছে আঙ্গুলের মাথায়।
ডাক্তার
কোনটা?
রোগী
সেটা তো আমি ঠিক বলতে পারব না। ওখানে অনেক মৌমাছি ছিল। আর সব দেখতে একই রকম।

*বোঝার উপায়ই নেই

কার স্ত্রী কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলছে তিন বন্ধু।
প্রথম বন্ধুঃ আমার তানিয়ার কোনো তুলনা নেই। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার স্‌ভেতা এমনভাবে তা সেলাই করে দিল, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধুঃ আমার ল্যুবা আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে, তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

*ব্যাথা তো কমছে না

একজন সহজ সরল লোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল:
"ডাক্তার মশাই । আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম তখন পায়ে ব্যাথা পেয়েছি।
ডাক্তার লোকটিকে একটি মলম দিল এবং আপানি যেখানে ব্যাথা পেয়েছেন সেখানে মলম লাগান, দু-এক দিনের মধ্যে ব্যাথা সেরে যাবে।
লোকটি মলমটি নিয়ে চলে এল । তিন দিন পার হবার পর।
এক সহজ সরল লোকটি রাস্তার ধারে একটি ইটে মলম লাগাচ্ছে।
পথচারীঃ কি ব্যাপার! ইটে মলম লাগাচ্ছ কেন?
সরল লোকঃ ডাক্তার সাব বলেছে আমি যেখানে ব্যাথা পাইছি সেইখানে এই মলমটা মাখতে। আমি এই ইটটাতেই ব্যাথা পাইছিলাম, তাই মলমটা মাখাচ্ছি।
………কিন্তু ব্যাথা তো কমছে না!

*ডায়রিয়া

চার জন লোক একসাথে আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে, সবচেয়ে দ্রুত কোন জিনিস।
প্রথমজন বলছে, "চিন্তা , বুঝলে? হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে, কিংবা তামাকের ছ্যাঁকা খেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দ্যায়! "
দ্বিতীয়জন বলছে, "আরে না। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচে দ্রুত। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়।"
তৃতীয়জন বলছে, "উঁহু, আলো। দ্যাখো না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে যায়?"
চতুর্থজন বলছে, " সবচে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া।"
বাকিরা ঘাবড়ে গেলো, "কিভাবে, কিভাবে?"
"গেলোবার নয়াখালিতে গিয়ে হোটেলে, ওদের তরকারি খেয়েছিলাম, বুঝলে? ব্যাটারা এতো ঝাল খায়! রাতের বেলা হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠলো। তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পাতিও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই ..........."
(দুরন্ত মন)

কৌতুক ৩
ইন্টাভিউ
একটি মেয়ে রিসিপশনিষ্ট পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলেন এবং তাকে প্রশ্ন করা হল তিনি কত বেতন চান। এর উত্তরে তিনি উত্তর দিলেনঃ "১,০০,০০০ (একলক্ষ টাকা) দিলেই চলবে। " সাথে সাথে প্রশ্নকর্ত তাকে বললেনঃ "আচ্ছা তাই কথা থাকল, ,০০,০০০ টাকা সাথে ধানমন্ডিতে এবং গুলশানে একটা করে ফ্লাট, ২টা গাড়ী যার সকল খরচ আমাদের, ১০,০০০ টাকার মোবাইল বিল, সপ্তাহে মাত্র ১দিন ৪ ঘন্টা ডিউটি করলেই হবে।" এই শুনে তো ঐ মেয়ে মহা খুশি। বললঃ "স্যার আমিতো বিশ্বাসই করতে পারছিনা। এত কিছু? আচ্ছা স্যার বলেনতো আপনি মজা করছেন নাতো?" প্রশ্নকর্তা বললেনঃ "হ্যাঁ আমি মজাই করছিলাম, কিন্তু এই মজা করাটা আপনিই প্রথম শুরু করেছেন।"

কৌতুক ৪
কত সময় লাগবে?
এক লোক একটি সেলুনে ঢুকে এক একজন নাপিতকে জিজ্ঞাসা করল, "আমি যদি এখন বসি তাহলে আমার চুল কাটা শুরু করতে আপনার কত সময় লাগবে?" নাপিত বলল, "ভাই আপনার আগে আরও ৩জন আছেন। আমার মনে হয় ২ ঘন্টা লাগবে।" এই শুনে লোকটি চলে গেল। এর পর আবার একদিন ঐলোকটি এসে আবার এই প্রশ্ন করল এবং এবার নাপিত বলল দেড় ঘন্টা কথা এবং লোকটি চলে গেল। ঐ লোক আবার একদিন এসে একই কথা জিজ্ঞাসা করল। এইবারও নাপিত ২ ঘন্টা কথা বলল এবং লোকটি চলে গেল। এবার নাপিত একটা ছেলেকে ঐলোকের পিছু পিছু যেতে বলল এবং বলল কোথায় যায় তা দেখতে। কিছু সময় পর ঐ ছেলেটি ফিরে এসে বলল, ঐলোকটি আপনার বাড়িতে গেছে।

কৌতুক ৫
আমিও পেতাম না।
এক আইনজীবি এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রিকে তার বাড়ির কিছু কাজের জন্য ডেকে আনল। ১ঘন্টা পর যখন কাজ শেষে যখন ঐ আইনজীবি জিজ্ঞাসা করল কত টাকা বিল হয়েছে, তখন ঐ ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি উত্তর করল, ,৫০০ টাকা।
আইনজীবির তো মাথায় হাত, বললেন, আরে মিয়া আমি তো ৫ঘন্টা কাজ করলেও এই টাকা পাইনা। আর তুমি কিনা এক ঘন্টাতেই এত টাকা নিয়ে যাবা?
এই শুনে মিস্ত্রিটি বলল, আমি যখন আইনজীবি ছিলাম তখন আমিও পেতাম না। কিন্তু এখন পাই।

কৌতুক ৬
আল্টিমেটাম
একদল লোক একটি বিমান ছিনতাই করল এবং পরে দেখ গেল যে ঐ বিমানের সকল যাত্রীই আইনজীবী। এই দেখে ঐ সন্ত্রাসীরা তাদের দাবীদাওয়ার সাথে লিখে দিল যে আমাদের দাবী যদি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা প্রতি ঘন্টায় একজন করে আইনজীবীকে ছেড়ে দিব।
(শফিউল আলম চৌধূরী)

কৌতুক-১
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার হচ্ছিলো। ইংল্যাণ্ডের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একটা শিশু জন্ম নিলো যার একটা পা ছিল না। আমরা নকল পা লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হলো! জার্মানির ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে এক শিশু জন্ম নিলো যার দু
টি হাত ছিল না। আমরা নকল হাত লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে মুষ্টিযুদ্ধে স্বর্ণপদক পেলো!! সবশেষে বাংলাদেশের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একদা দুটি মেয়ে শিশু জন্ম নিলো- যাদের হাত-পা সবই ঠিক ছিল, শুধু মাথায় মগজ ছিল না। আমরা সেখানে গোবর ঢুকিয়ে দিলাম। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, দুজনেই দেশের শীর্ষপদে বসেছিলেন।

কৌতুক-২
বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে আমেরিকায় ভিন্ন ধরনের এক মেলা বসেছে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হচ্ছে। যার যেটা দরকার কিনে নিয়ে গিয়ে নিজ শরীরে লাগিয়ে নিচ্ছে। একজন এসেছে নিজের জন্য মগজ কিনতে। স্টলে গিয়ে মগজ পছন্দ করে দাম জানতে চাইলে দোকানি বললো, এটা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মগজ, দাম দুইশ
ডলার। ক্রেতা আরো দামি মগজ চাইতেই দোকানি একটা মগজ দেখিয়ে বললো, এটা নিয়ে যান, পুরো পাঁচশ ডলার দাম পড়বে।
- কেন, এত বেশি কেন? কার মগজ এটা?
: এক বাংলাদেশি নেতার। একটু পুরানো, কিন্তু একদম ফ্রেশ। ওই দেশের নেতাদের মগজ সারাজীবনই অব্যবহৃত থাকে কিনা!

কৌতুক-৩
তৃতীয় বিশ্বের কোন এক উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের দুই নেত্রী একই প্লেনে বিদেশে যাচ্ছেন। একজন একটি চকচকে একশ
টাকার নোট প্লেনের জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিলেন। তারপর অপরজনকে শুনিয়ে বললেন, আমি আমার দেশের একজন মানুষের উপকার করলাম! এই দৃশ্য দেখে অপর নেত্রী পাঁচটি একশ টাকার নোট বের করে একই কান্ড করলেন এবং জোর গলায় বললেন, আমি পাঁচজন মানুষের উপকার করলাম!!
সবকিছু দেখে পাইলট আফসোস করে বললেন, আহা আমি যদি দু
জনকেই ফেলে দিতে পারতাম, তবে ১৮ কোটি মানুষের উপকার হতো!!!

কৌতুক-৪
একজন রাজনৈতিক নেতা এক ভদ্রলোককে রাজনীতিতে নামানোর জন্য ফুসলাচ্ছেন। কিন্তু ভদ্রলোক কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। তাঁর ভাষ্য- আমরা অতিশয় সাধারণ মানুষ, আমার চৌদ্দ পুরুষের কেউ কোনদিন রাজনীতি করেনি; ওই পথ আমার জন্যে নয়। তবু নেতা দমবার পাত্র নন। স্বভাবসুলভ বাকপটুতায় বললেন, ধরুন কারো বাপ-দাদা গরু চোর ছিল, তাই বলে কি ছেলেকেও গরু চুরিতে নামতে হবে?
- তা কেন, তবে ও রকম হলে আমি নির্ঘাৎ রাজনীতিতে নাম লেখাতাম!

কৌতুক-৫
একবার দশজন রাজনীতিবিদকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার দূর গ্রামে বিধ্বস্ত হলো। খবর পেয়ে রাজধানী থেকে উদ্ধারকারী দল রওনা হলো। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা প্রায়। দেখা গেল, গ্রামবাসীরা ইতোমধ্যে দশজনকেই দাফন করে ফেলেছে- সারিবদ্ধ দশটি কবর।
উদ্ধারকারী দলনেতা জানতে চাইলেন, সবাই কি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন?
- কবর দেওয়ার আগ পর্যন্ত দুইজন বলছিলেন যে, তারা মারা যাননি। কিন্তু আমরা সে কথায় কর্ণপাত করিনি। জানেনই-তো রাজনীতিবিদদের সব কথা বিশ্বাস করতে নেই!

কৌতুক-৬
একবার বনমন্ত্রী সুন্দরবন পরিদর্শনে গেলেন। গহীন জঙ্গলে তিনি কিছু লোহা-লক্কর পড়ে থাকতে দেখলেন। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেন এগুলো দেখে-শুনে রেখো। সুতরাং নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হলো। কিছুদিন পর তার কাজ তদারকি করার জন্যে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হলো। এই দু
জনের ছুটিছাটা দেখার জন্যে নিযুক্ত হলো প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আর তিনজনের বেতন-ভাতা হিসাব-নিকাশ করবেন সদ্য নিযুক্ত হিসাবরক্ষক।
এক্ষণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের টনক নড়লো। তারা আপত্তি জানিয়ে বললো, এত লোকের বেতন দেওযা যাবে না, লোক কমাও। বিষয়টি বনমন্ত্রীকে জানানো হলো। তিনি বললেন, সরকারি কাজকর্ম হবে দিনের আলোয়, রাতে লোক রাখার দরকার কী? তাই নৈশপ্রহরীর দরকার নেই। ওকে আগে চাকরি থেকে বিদায় করো!

কৌতুক-৭
এক লোক সচিবালয়ের মুল প্রবেশ পথে তার জীর্ণ বাইসাইকেলটি রেখে ভেতরে ঢুকছিল। হা হা করে ছুটে এলো দারোয়ান- এই পথ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর মতো লোক যাবেন। তুমি কী ভেবে সাইকেলটি এখানে রাখলে?
লোকটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললো, সাইকেলটি পুরানো হলেও তালাটি নতুন। উনাদের কেউ এটি চুরি করে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে হয় না!

কৌতুক-৮
আরেকবার দুই দেশের দুই অসৎ যোগাযোগ মন্ত্রীর মধ্যে গোপন আলাপ চলছিল। নাইজেরিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী তার দেশের একটি ব্রিজের ছবি দেখিয়ে বললো, এটার বাজেট ছিল ২০ কোটি টাকা। কিন্তু আমি ১৫ কোটি টাকায় বানিয়ে বাকিটা হজম করেছি! এরপর তৃতীয় বিশ্বের এক উন্নয়নশীল দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী একটি নদীর ছবি দেখিয়ে বললেন, এখানে ব্রিজ বানানো বাবদ বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা।
- কোথায় ব্রিজ? আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
মন্ত্রী মুচকি হেসে বললেন, ব্রিজ থেকে আমার আয় হয়েছে পুরো ২০ কোটি টাকা!

কৌতুক-৯
বাংলাদেশকে বলা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কথাটা সর্বৈব মিথ্যে নয়। বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই নির্বাচিত হন। দলের সদস্যরা স্বাধীনভাবে নেতা নির্বাচিত করতে পারেন। এজন্যে ব্যবহৃত হয় পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন নির্বাচন পদ্ধতিটি। সেটা হলো : আদমকে যখন বলা হলো, এবার তুমি সঙ্গী নির্বাচন করে নিতে পারো, যখন কিনা ইভ-ই ছিলেন একমাত্র মানবী!

কৌতুক-১০
এবং...
একবার এক যৌথ নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হলো, যেখানে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ নিজ অঙ্গীকার ব্যক্ত করবেন। সবার বক্তব্য শেষ হলে দর্শক সারিতে বসা একজন বলে উঠলেন, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মহাত্ম যে, গণতন্ত্র আছে বলেই অন্তত ছয়জন মিথ্যুককে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে; নির্বাচিত হবে মাত্র একজন!

কৌতুকগুলো পড়ে আপনাদের কি মনে হচ্ছে, সব দায় আমি কেবল রাজনীতিবিদদের উপরেই চাপাচ্ছি? আসলে দায় আমাদের সবার। আমরা যদি প্রশ্রয় না দিতাম, সবকিছু জেনে-বুঝেও রাজনীতিবিদদের তোষামোদি না করতাম, তাহলে তারা এত স্পর্ধা পেতো না। এ প্রসঙ্গে আরেকটা কৌতুক বলে লেখাটার ইতি টানবো।

একবার বাংলাদেশ আর নেপালের তথ্যমন্ত্রীর মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। পাহাড়ি দেশ নেপালের তথ্যমন্ত্রী সহজেই জিতে গেলেন। সেই রাতে বাংলাদেশের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হলো : তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী রৌপ্যপদক জয় করেছেন, অথচ নেপালের তথ্যমন্ত্রী অনেক চেষ্টার পরও শেষ লোকটার আগে পৌঁছেছেন মাত্র!





1 comment: