Saturday, February 20, 2016

মশা থেকে চিরতরে রেহাই!

মশার গুষ্টি উদ্ধার করতে আপনাকে সাহায্য করবে এই পদ্ধতিটি।
সারা বছর মশার প্রচন্ড উপদ্রব-এ আমরা প্রচুর বিরক্ত। মশা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার মনে হয়তোবা কয়েলের ছবি ভাসছে। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন, এক বছরে আপনি কয়েলের পিছনে কত টাকা খরচ করেছেন? আর সব থেকে বড় কথা হলো, কয়েল মানব শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা কি আপনি জানেন? এ্যারোসল যদি ব্যবহার করার চিন্তা থাকে তবে সেক্ষেত্রে সেটা মানব শরীরের জন্য আরো ভয়াবহ ক্ষতিকর। অথবা ইলেকট্রিক ব্যাট আছে কিন্তু মশার সাথে কতদিন ব্যাডমিন্টন খেলবেন? ১০টা মারবেন ১০০ মশা সামনে এসে হাজির হবে। আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার মশা মারা আর শেষ হবে না!
মশা মারার কয়েলের ক্ষতিকর দিকঃ
১। আপনি যদি একটি মশার কয়েল টানা ৮ ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে ১৩৭টি সিগারেটের পরিমান বিষাক্ত ধোঁয়া আপনি গিলছেন।
২। কয়েলে যে গুঁড়া দেখেন সেটা এতটাই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালীর এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়ে বিষাক্ততা তৈরি করে।
৩। কয়েলের ধোঁয়া চোখের ভীষন ক্ষতি করে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হতে পারে।
৪। কয়েল মশাকে তাৎক্ষনিক মারে কিন্তু মানব দেহে স্লো পয়জনিং করে, ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
এ্যারোসলেক্ষতিকর দিকঃ
১। এ্যারোসল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মানব দেহের হার্ট সরাসরি এ্যারোসলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
২। এ্যারোসলের ক্যামিকেল চোখের ক্ষতি করে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে চোখের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আসুন জেনে নেই মাত্র ২০ টাকা খরচ করে পুরো ১ বছর মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
কিভাবে বানাবেন?
প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সবার আগে একসাথে যোগাড় করে নিন।
উপাদানঃ
– দুই লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতল
– এক গ্লাসের তিন ভাগের দুই ভাগ ইষৎ গরম পানি
– এক কাপের তিন ভাগের ২ ভাগ ব্রাউন সুগার
– এক চামচ ইষ্ট

ইষ্টঃ
যেকোন সুপার স্টোর কিংবা বড় জেনারেল স্টোরগুলোতে ইস্টের বিভিন্ন সাইজের বোতল পাওয়া যায়। সেখান থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন। ইস্ট সাধারণত এক প্রকার ছত্রাক তবে এই খাবার জিনিস তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। পাউরুটির তৈরির জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান এই ইস্ট।
প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ
মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনাকে প্রস্তুত প্রানালী ধাপে ধাপে অনুসরন করতে হবে। প্রথমে প্লাষ্টিকের বোতলটি উপর থেকে ৩/৪ ইঞ্চি রেখে একটি চাকু দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর নিচের বড় (বোতল) অংশটিতে ব্রাউন সুগার বা খোলা চিনা বা পরিশোধিত চিনি ঢেলে দিন। নাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তারপর এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন। তারপর এক চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ ইষ্ট ছেড়ে দিন। এবার বোতলের উপরের অংশটিকে চিৎ করে বড় বোতলের ভেতর বসিয়ে দিন।
খেয়াল রাখবেন বোতলের উপরের অংশের মুখের ছিপিটি যেন অবশ্যই খোলা রাখেন। কারন ওখান থেকেই মশা ভেতরে ঢুকবে। এরপর একটি টেপ দিয়ে বড় এবং ছোট অংশটির জোরা শক্ত করে লাগিয়ে দিন। ব্যস! হয়ে গেলো মশা মারার হোমমেড ফাঁদ। এবার ফাঁদটিকে ঘরের যেকোন কোনায় রেখে দিন। চলতে পারবেন পুরো এক বছর।
সর্তকতাঃ
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে তারা ভুলে খেয়ে না ফেলে।

Tuesday, February 16, 2016

ছারপোকা ধ্বংসের কার্যকরি উপায়?

ছারপোকার কামড়ে মানুষের শরীরে নানান ধরনের রোগ ছড়ায়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ বাসা-বাড়িতেও এখন ছারপোকার যন্ত্রনা। ছারপোকা তাড়ানোর জন্য আমরা নানান পদক্ষেপ নেই কিন্তু ছাড়পোকা বিনাশ হয় না। তাহলে চলুন পাঠক জেনে নেই সেই ছারপোক ধ্বংসের কার্যকারি উপায়-
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ছারপোকারা কীটনাশক সহ্য করার ক্ষমতা আগের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বৃদ্ধি পয়েছে৷ বাড়িতে উপদ্রব করে এমন ২১ প্রজাতির ছারপোকার ওপর গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এদের ধ্বংস করতে হলে আগে যে কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো, এখন তার শক্তি আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি দরকার৷বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রচলিত কীটনাশক এখন আর ছারপোকা ধ্বংসে কাজ করছে না।
কারণ, এগুলির ১৪টি জিনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে এদের চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে, কীটনাশক এসব কীটের শরীরে ঢুকতেই পারে না। জিনগত কিছু পরিবর্তনের ফলে ছারপোকার স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করতে পারছে না কীটনাশক।
কোনও কোনও প্রজাতির ছারপোকা আবার কীটনাশক হজম করে ফেলার শক্তিও অর্জন করেছে। আমেরিকা ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির পতঙ্গ বিশারদ ও গবেষক সুবা পালি জানান, কষ্টসহিষ্ণু ছারপোকার শরীরে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তন এদের কীটনাশক থেকে রক্ষা করছে। তাঁদের মতে, উপদ্রুত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ দিয়ে ছারপোকা মারাটাই সবচেয়ে কার্যকর হবে৷ তাছাড়া বাড়ির আসবাবগুলি রোদে দিয়েও ছারপোকা মারা যায়। কারণ, রোদের হাত থেকে বাঁচার উপায় এখনো ‘আবিষ্কার’ করতে পারেনি ছারপোকারা৷ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়ার ফলে চ্যাপ্টা আকারের ছারপোকা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষভাবে সস্তা হোটেলগুলিতে এর উপদ্রব৷
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/80190/index.html#sthash.3moyWwxy.dpuf

Friday, February 5, 2016

jokes

একজন প্রকৌশলী আর একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ট্রেনে ভ্রমণ করছেন পাশাপাশি আসনে বসে।
অনেক দূরের পথ। দীর্ঘ সময় লাগবে। কম্পিউটার প্রোগ্রামার বললেন, আসুন, সময় কাটানোর জন্য একটা মজার খেলা খেলি।
প্রকৌশলী বললেন, প্রকৌশলীরা মজার খেলা কী, তা জানে না।
প্রোগ্রামার বললেন, খুব সোজা। আমি শিখিয়ে দিচ্ছি। আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করব। আপনি যদি উত্তর পারেন, আমি আপনাকে দেব ১০ ডলার। আর আপনি যদি উত্তর না পারেন, আপনি আমাকে দেবেন ১০ ডলার। একই ভাবে আমাকে প্রশ্ন করবেন আপনি। আমি পারলে আপনি আমাকে দেবেন ১০ ডলার, না পারলে আমি আপনাকে দেব ১০ ডলার।
প্রকৌশলী হাই তুলে বললেন, ভাই, আমি ক্লান্ত, একটু ঘুমিয়ে নিই।
প্রোগ্রামার বললেন, আচ্ছা, আপনি দেবেন ১০ ডলার, কিন্তু আমি দেব ১০০ ডলার।
প্রকৌশলী বললেন, আচ্ছা।
প্রোগ্রামারের প্রথম প্রশ্ন: বলুন তো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত?
প্রকৌশলী বললেন, জি না। জানি না। তিনি পকেট থেকে ১০ ডলার বের করে প্রোগ্রামারের হাতে দিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, এবার আপনি বলুন, কোন প্রাণী তিনটা পা নিয়ে পাহাড়ে ওঠে আর চারটা পা নিয়ে পাহাড় থেকে নামে।
প্রোগ্রামার বললেন, ঠিক আছে। আমি গুগল করে বলছি। তিনি গুগল করলেন। বন্ধুদের ই-মেইল করলেন। এই প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নেই।
তিনি তখন ১০০ ডলার বের করে প্রকৌশলীর হাতে দিয়ে বললেন, এবার আপনি বলুন তো এই প্রশ্নের উত্তর কী? কোন প্রাণী তিন পা নিয়ে পাহাড়ে ওঠে, চার পা নিয়ে নামে।
প্রকৌশলী পকেটে হাত দিয়ে ১০ ডলার বের করে প্রোগ্রামারের হাতে দিয়ে দিলেন।
প্রকৌশলী আর ডাক্তারের বাহাসের কৌতুকটা পুরোনো।
দুজন ডাক্তার আর দুজন ইঞ্জিনিয়ার ট্রেনে উঠেছেন।
প্রকৌশলীরা জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা ডাক্তার ভাইয়েরা, আপনারা কটা টিকিট কেটেছেন।
ডাক্তাররা বললেন, দুইটা। আপনারা?
একটা।
চেকার এলে কী করবেন?
দেখেন কী করি।
যখন চেকার এল, তখন দুই প্রকৌশলী গিয়ে এক বাথরুমে ঢুকল। চেকার বাথরুমের দরজায় টোকা দিলে তাঁরা একটা টিকিট বের করে দিলেন। চেকার টিকিট পরখ করে চলে গেল।
ডাক্তার দুজন অবাক।
ফেরার সময় আবার প্রকৌশলী দুজন জিজ্ঞেস করলেন ডাক্তার দুজনকে, আপনারা কটা টিকিট করেছেন?
ডাক্তাররা বলল, একটা। আপনারা?
আমরা করি নাই।
কী করবেন চেকার এলে?
দেখেন না কী করি।
চেকার আসছে। ডাক্তার দুজন গিয়ে বাথরুমে ঢুকল। ইঞ্জিনিয়ার সেই দরজায় গিয়ে নক করল। ডাক্তাররা টিকিট বের করে দিল। সেই টিকিট নিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ার আরেকটা বাথরুমে ঢুকে গেল।
কৌতুক দুইটাই হাসির। কিন্তু এর অন্তর্নিহিত বাণী প্রকৌশলীদের জন্য ভালো নয়। কারণ, এর মাধ্যমে আমরা এই বার্তা পাই যে প্রকৌশলীরা চালাক, কিন্তু সেই চালাকি তাঁরা ফাঁকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন। একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমি এই কৌতুক দুইটারই প্রতিবাদ জানাই। বিশেষ করে দ্বিতীয়টার। আমরা প্রকৌশলীরা সব সময় টিকিট কেটেই ট্রেনে উঠি। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠার অপবাদ আমাদের কেউ দিতে পারবে না।
বিভিন্ন পেশাজীবীর বাহাস নিয়ে অনেক কৌতুক প্রচলিত আছে।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদদের মধ্যে কথার প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
কোন পেশা সবার আগে পৃথিবীতে এসেছে।
ডাক্তার বললেন, অবশ্যই ডাক্তারি পেশা। প্রথম মানুষ এল পৃথিবীতে, তাদের সন্তান জন্ম নিল, শুরু হয়ে গেল ডাক্তারি।
ইঞ্জিনিয়ার বললেন, না, না। তারও আগে মহাবিশ্ব ছিল লন্ডভন্ড। সৃষ্টিকর্তা সেসবকে সুশৃঙ্খল করলেন। সেটা অবশ্যই একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ। কাজেই প্রকৌশলবিদ্যাই পৃথিবীর আদিতম বিদ্যা।
পাত্রী চাই, পাত্রী চাই, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য পাত্রী চাই। মাসিক আয় দুই লাখ টাকা। ঢাকায় বাড়ি আছে এমন পাত্রী চাই। বাড়ির ফটোসমেত যোগাযোগ করুন
রাজনীতিবিদ তখন মিটিমিটি হাসছেন।
বাকি দুজন বললেন, কী ব্যাপার, আপনি হাসেন কেন?
রাজনীতিবিদ বললেন, ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যা মহাবিশ্বকে সুশৃঙ্খল করল বটে, কিন্তু মহাবিশ্বটাকে বিশৃঙ্খল করলটা কে?
এসবই কৌতুক। কৌতুক বলা শেষ। এবার বলি একটা টৌতুক। শুনতে পেলাম, আমাদের ঢাকা শহরের একটা ফ্লাইওভার বানানো যখন প্রায় শেষ, তখন টের পাওয়া গেছে, এগুলো আসলে যেসব গাড়ি রাস্তার ডান দিক দিয়ে যায়, সেসবের জন্য ডিজাইন করা। আমাদের দেশে এবং বিলাতে ড্রাইভাররা বসেন গাড়ির ডান পাশে। আমেরিকায় ড্রাইভাররা বসেন গাড়ির বাঁ দিকে। আমরা রাস্তার বাঁ দিকে চলি। আমেরিকানরা রাস্তার ডান দিকে চলে। এই জন্য ব্রিটিশরা বলে থাকে, আমেরিকার সবকিছু উল্টো। তারা রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলে, তেলকে বলে গ্যাস আর ফুটবল খেলে হাত দিয়ে।
তো আমরা চলি ব্রিটিশ নিয়মে, ফ্লাইওভার নাকি বানিয়ে ফেলেছি আমেরিকান নিয়মে, এখন নাকি অনেকটা কেঁচে গণ্ডূষ করতে হবে। ভেঙে আবার বানাতে হবে। এটার সত্য-মিথ্যা জানি না। যদি সত্য হয়, বোঝাই যাচ্ছে ডিজাইনাররা আমেরিকান কোনো কপি বুক থেকে ডিজাইনটা নিয়ে ঢাকার রাস্তায় হুবহু বসিয়ে দিয়েছেন।
আমরা এ ধরনের ঘটনা ডাক্তারির ক্ষেত্রে ঘটেছে বলে সংবাদপত্রে কখনো কখনো পড়েছি। যেমন, ডান পায়ে সমস্যা, ডাক্তার সাহেব ভুলে বাঁ পা কেটে ফেলেছেন। কৌতুক আছে, রোগী বলছে, ডাক্তার সাহেব গতবার যে দাঁত তুলেছিলেন, খুব ব্যথা পেয়েছিলাম, এবার যে সহজেই উঠে গেল, ব্যাপার কী! ডাক্তার বললেন, ইয়ে মানে, ভুলে দাঁত ভেবে আমি আপনার আলজিব তুলে ফেলেছি।
কৌতুকের কোনো আগা-মাথা নেই, আলজিব তুললে মানুষ কথা বলবে কী করে?
সম্প্রতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রকৌশলীদের নিয়ে একটা বক্তৃতা দিয়েছেন। তাতে তিনি আফসোস করেছেন, দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা প্রকৌশলী হয়, তা সত্ত্বেও দেশের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে প্রকৌশলীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ খুব কম। বিষয়টা অবশ্যই চিন্তা করার মতোই। মেধাবীরা দেশের উন্নয়নে ও নীতিনির্ধারণে আরও বেশি করে অংশ নিক, সেটা সবাই চাইব। যেমন চাইব, মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসুন। এবং মর্যাদা পান। সম্মান পান।
আমরা ছোটবেলায় কবিতা পড়েছিলাম, ‘বাদশাহ আলমগীর—/ কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।’ সেই শাহজাদা তার শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছিল, তা দেখে বাদশা রেগে যান এবং বলেন, আমি খুব দুঃখ পেয়েছি, আপনার ছাত্র কেন শুধু পানি ঢেলে দেবে। কেন সে নিজ হাতে আপনার পা প্রক্ষালন করে দেয়নি।
সেই দিল্লিও নেই। সেই আলমগীরও নেই। কিন্তু সেই শিক্ষকও কি আছেন? আমাদের মূল্যবোধের ব্যাপক বদল ঘটেছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে—পাত্রী চাই, পাত্রী চাই, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য পাত্রী চাই। মাসিক আয় দুই লাখ টাকা।
তাহলে আর এই বিজ্ঞাপনকে আমরা কেন দোষ দেব? পাত্রী চাই। ঢাকায় বাড়ি আছে এমন পাত্রী চাই। বাড়ির ফটোসমেত যোগাযোগ করুন।