Monday, July 27, 2015

বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে ১০ টি মারাত্মক সেফটি টিপস

বর্তমান সময়ে বাইক রাইডিং একটাপ্যাশন এবং অনেকের ক্ষেত্রে এটা একটা নেশায় পরিণিত হয়েছে । কিন্তু আমরা সবাই’ই জানি যে বাইকরাইডিং এ অনেক রিস্ক রয়েছে এবং সেগুলো মোকাবেলা করেই বাইক
রাইড করতে হয় । না হলে আপনি বাযেকোন রাইডারই এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হতে পারে এবং বাইক
এক্সিডেন্টের ফলে প্রতিদিনই অনেক মানুষ আহত হচ্ছে এমনকী অনেকে মারাও যাচ্ছে । তাই রাইডিং এর আগে কীভাবে সেফলি বাইক রাইড করা যায় সে বিষয়ে আমাদের জানা উচিৎ । আর এটাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয । আজ আমি আপনাদের বাইক রাইডিং এর কিছু সেফটি টিপস
দিব যেগুলো আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে ।

হেলমেট:
আমরা সবাই জানি যে হেলমেট এর মতগুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাইডিং রে ক্ষেত্রে আর হয় না । এটা রাইডারের মাথার সেফটি দিয়ে থাকে এবং
বেশীরভাগ এক্সিডেন্টে রাইডারের মাথাই ইনজুরি হয়ে থাকে । তাই , রাইডিং এর আগে সব রাইডারের
একটা ভাল এবং তার সাথে ফিটএকটা হেলমেট চয়েজ করা দরকার । এটা খুব টাইট বা খুব লুস হবার কোন দরকার নেই । এটা যেন আপনার মাথার সাথে
পারফেক্টলি ফিট হয় । আর এটা কেনারসময় ডিজাইন বা স্টাইল না দেখে এটার সেফটি পাওয়ার দেখে কেনাই ভাল ।

মনোযোগীতা:
রাইডং এর সময় বাইকারের এটেশনসবসময় রোডের দিকে থাকাই ভাল । না হলে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । আপনার চোখ সবসময় রোডের
উপর রাখুন । অন্যমনস্ক ভাবে রাইডিংএক্সিডেন্টের অন্যতম প্রধান কারণ । আর আপনার সামনে বা পেছনে কোন বাইক বা অন্য কোন যানবাহন আছে কীনা সেটার দিকে লক্ষ্য রাখুন । টার্ণিংএর সময় পুরো রোডের দিকে ভালভাবে খেয়াল করে টার্ণ করুন ।
রাস্তার ট্রাফিকের বিষয়টা এক্ষেত্রে মাথায় রাখুন ।

প্যাসেঞ্জার:
রোডে সিঙ্গেল রাইড করছেন এমনপাবলিক খুব কমই দেখা যায় ।সবসময়ই বাইকের পেছনে একজন সহ রাইডিং এর বিষয়টা বেশী নজরে পড়ে । রাইডিং
এর ক্ষেত্রে প্যাসেঞ্জারও একটা ভাইটাল রোল প্লে করে । রাইডিং এর আগে আপনার পেছনের যাত্রী ঠিকমত
বসতে পেরেছে কীনা সেটা লক্ষ্যরাখুন । অনেক সময় পেছনে বসা কারোর নড়াচড়া বা অনাকাঙ্খিত মুভমেন্টের কারণেও বিপদ ঘটে থাকে । আর আপনি
একজন প্যাসেঞ্জার নিয়ে রাইড করতেকতটা অভিজ্ঞ সেটাও একটা বিষয় । আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার পেছনে একজন বসে আছে
এবং সেই অনুসারে রাইড করা উচিৎ । ‌

আবহাওয়া:
খারাপ আবহাওয়াতে আপনার রাইডিং এ না যাওয়াই ভাল । কারণ বৃষ্টির সময় রোড ভেজা থাকার
কারণে আপনার বাইকের চাকা খুব সহজেই স্লিপ করতে পারে । খুব ইমারজেন্সি কোন দরকার ছাড়া বৃষ্টির সময় আপনার বাইক নিয়ে না বের হওয়াই
ভাল । যদিও আপনি অভিজ্ঞ এবং ভালরাইডার হন , তারপরও বৃষ্টির সময় রিস্ক না নেওয়াটাই বেটার । আর বৃষ্টির সময় রাইডিং এ গেলে অবশ্যই বাইক খুব
আস্তে রাইড করবেন এবং ব্রেকিং এর সময় হার্ড ব্রেকিং থেকে বিরত থাকবেন ।

টেকনোলজি:
বর্তমানে নতুন টেকনোলজির এন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের ফলে ব্রেকিং সিস্টেম একটা অন্যরকম উচ্চতায় চলে গেছে । কিন্তু , এটা বর্তমানে
বেশীরভাগ রাইডারের কাছেই নতুনএকটা বিষয় এবং বেশিরভাগ রাইডার এটা সম্পর্কে ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেননি । এটা যখন আপনার চাকাকে
লক করে দেয় তখন নতুন রাইডার হলেভয়ে বা অন্য যেকোন কারণে আপনি বাইকের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলতে পারেন । তাই , নতুন কোন টেকনোলজি
ভালভাবে প্রাকটিস করে ইউজ শুরু করুন ।

হেডফোন বন্ধ রাখুন:
রাইডিং এর সময় এটেনশন যে একটাগুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট সেটা আগেও বলেছি ।যেকোন প্রকার অমনোযোগীতা
আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে ।তাই , রাইডিং এর সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনা বা কথা
বলা থেকে বিরত থাকুন । কারণ , এটাএকই সাথে আপনাকে অমনোযোগী করে দেয় এবং আশেপাশের কোন যানবাহনের হর্ন আপনি শুনতে পাবেন
না কানে হেডফোন থাকলে ।

স্কিল:
মোটরসাইকেল রাইডিং অবশ্যই একটাস্কিল এর বিষয় , এবং আপনি কত ভালভাবে মোটরসাইকেল রাইড করতে পারেন সেটা আপনার স্কিলের উপর
ডিপেন্ড করে । আর এক্ষেত্রে সবারনিজের স্কিল ফলো করাই উচিৎ ।কোনসময়্ই আপনার স্কিলের সাথে অন্য
কারও স্কিল তুলনা করবেন না , কারণ ,আপনি যার রাইডিং স্টাইল নল করতে চাইছেন তার স্কিল আপনার মত নাও হতে পারে । তাই , এটা একটা
বোকামী । রাইডিং এর মাধ্যমেআপনার নিজের স্কিল ডেভলপ করুন । সেটাই সবথেকে ভাল । ‌

এ্যাপিয়ারেন্স:
রাইডারের এপিয়ারেন্স রাইডিং এরক্ষেত্রে সবসময় ভাল হওয়া উচিৎ ।আপনার উচিৎ রাইডিং এর সময় একটা ভাল বুট পড়ে রাইড করা । এটা আপনার
গিয়ার শিফটিং এর সময় সহায়তা করাসহ যেকোন দূর্ঘটনা থেকে আপনার পাকে সুরক্ষা দেয় । রাইডিং এর সময় ইন্জিনের তাপে আপনার পা পুড়ে
যাবার সম্ভাবনা থাকে । একটা ভালরাইডিং বুট আপনাকে এটা থেকেও নিরাপত্তা দিতে পারে । আর আপনার জুতার সোল সবসময় একটু অমসৃণ হওয়া উচিৎ,  কারণ , সোল নরম ও মসৃন হলে আপনার পা
স্লিপ করতে পারে ।

বাইকারের ড্রেস:
খুব টাইট বা ঢিলাঢোলা ড্রেসআপকোন রাইডারের জন্যই ভাল না ।কারণ এটা আপনাকে ভাল নিরাপত্তা
দিতে পারে না । আপনার ড্রেসহিসেবে লেদার একটা প্রথম চয়েজ হতে পারে কারণ আপনি বাইক থেকে
পড়ে গেলে এটা আপনার বডিকেইনজুরি থেকে রক্ষা করে । আর এমনড্রেস চয়েজ করবেন না যেটা
বাতাসের বাধা সৃষ্টি করতে পারে ।কারণ , হাই স্পীডে বাতাসের বাধার কারণে অনেক সময় মারাত্মক সমস্যা
হয়ে থাকে । ‌

আইন সম্পর্কে জানুন:
একজন রাইডারের জন্য ফাইনাল টিপসহল রাইডারের উচিৎ একটা মোটরসাইকেল সেফটি কোর্স করা ।
মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করার সময়আপনাকে এই কোর্সের জন্য পরীক্ষা করে নেওয়া হয় । এই সময় আপনি আপনার দেশের ট্রাফিক সেফটি আইন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং কীভাবে
ইমারজেন্সী সিচুয়েশনে বাইক কন্ট্রোল করতে হয় সেই বিষয়েও জানতে পারবেন । এই সময় ইনস্ট্রাকটর
আপনাকে মোটরসাইকেল মেইনটেইন্সএবং আনসেফ সিচুয়েশন কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সে বিষয়েও টিপস দিবে । মোটামোটি আপনি এই সময়
মোটরসাইকেলের সেফটি বিষয়ে
অনেক কিছু জানতে পারবেন ।

No comments:

Post a Comment