Wednesday, November 19, 2014

হাসির কৌতুক ২

* টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।

* মাঃ তোমাকে তোমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরন করা উচিত।
ছেলেঃ বাবা, এমন কী উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন?
মাঃ কেন, ভদ্র ব্যাবহার করার জন্য জেল কতৃপক্ষ গত বছর তার শাস্তি ছয় মাস কমিয়ে দিয়েছিল।

* ১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষ করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।


* পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।


ছোট্ট বাবুকে প্রশ্ন করলেন মিস, ‘ছোট্ট বাবু, বলো তো দেখি, তোমার বাড়ির পাশের পুকুরে তিনটা হাঁস ভাসছে। যদি তুমি একটাকে শটগান দিয়ে গুলি করো, কয়টা থাকবে?’
বাবু খানিকটা ভেবে বললো, ‘উমম, তাহলে গুলির শব্দ শুনে সব উড়ে চলে যাবে, একটাও থাকবে না।’
মিস হেসে বললেন, ‘উঁহু, ছোট্ট বাবু, তিনটার মধ্যে একটাকে গুলি করলে বাকি থাকবে দুটো। কিন্তু তোমার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’
বাবু মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে মিস, আমি একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আইসক্রীম পার্লার থেকে তিন মহিলা বের হয়েছে কোওন আইসক্রীম কিনে। একজন আইসক্রীম কামড়ে খাচ্ছে, একজন চেটে খাচ্ছে, আরেকজন চুষে খাচ্ছে। এদের মধ্যে কে বিবাহিত?’
মিস খানিকটা ভেবে বললেন, ‘ইয়ে, মানে বাবু, আমার মনে হয় শেষের জন।’
বাবু বললো, ‘উঁহু মিস, এদের মধ্যে যার হাতে বিয়ের আঙটি আছে, সে-ই বিবাহিত, কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’


ভাষাগত সমস্যা
আজকাল একই জাহাজে বিভিন্ন দেশের নাবিক কাজ করে। তাই ভাষাগত সমস্যা রয়েছে অনেক।

একবার এক ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন রাশিয়ান চীফ অফিসারকে বললো, “আজ পূর্ণিমার রাত এবং সেই সাথে চন্দ্রগ্রহন। অর্থাৎ চাঁদটা ঢাকা পড়বে পৃথিবীর ছায়াতলে। ক্রু-রা ইচ্ছে করলে রাত ন’টায় ব্রীজে এসে এই বিরল দৃশ্য অবলোকন করতে পারে। তবে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেউ যেন লাফালাফি না করে।”

চীফ অফিসার ফিলিপিনো থার্ড অফিসারকে বললো, “সারেং কে বল- আজ পূর্ণিমার রাত, কিন্তু রাত ন’টায় চাঁদটা হারিয়ে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়, এই বিরল দৃশ্য রাত ন’টায় ব্রীজে গিয়ে ক্রু-রা দেখতে পারে- তবে কেউ প্রফুল্ল হয়ে লাফ দিতে পারবে না। এটা ক্যাপ্টেনের আদেশ।”

থার্ড অফিসার চাইনিজ সারেংকে বললো, “আজ পূর্ণিমার রাত এবং ওটা ছায়াতলে হারিয়ে যাবে। এই বিরল দৃশ্য দেখে ক্যাপ্টেন ছাড়া আর কেউ লাফ দিতে পারবে না, রাত ন’টায় ব্রীজে যাবে সবাই প্রফুল্ল মনে।”

সারেং সমস্ত ক্রু-দের ডেকে বললো, “আজ পূর্ণিমার রাত এবং হঠাৎ চাঁদটা উধাও হয়ে যাবে। এই দুঃখে ক্যাপ্টেন পানিতে লাফ দিবে। এই বিরল দৃশ্য দেখে তোমরা রাত ন’টায় প্রফুল্ল মনে পার্টিতে যোগ দিবে।”

উপরওয়ালার দয়া
এক বন্ধুর সাথে আরেক বন্ধুর বহুদিন পরে দেখা।
প্রথম বলল: কিরে। কেমন আছিস? বিয়ে থা করেছিস?
দ্বিতীয় বন্ধু জবাবে বলল: "বিয়ে করেছি মানে? উপরওয়ালার দয়ায় চারচারটা ছেলে।"
প্রথম বন্ধু: "তোর উপর তলায় কে থাকেরে?"


একটি সিরিযাস সাক্ষাতকার
আপনি কে?
গরীবের রাজা রবীন হুড।
আপনার ছেলে মেয়ে কয় জন?
ওরা এগার জন।
বড় ছেলে কি করে?
টপ-রংবাজ।
মেঝো ছেলে?
বিশ্ব প্রেমিক।
তার পরের জন?
সেয়ানা পাগল
ছোট ছেলে কি করে?
কুলি নাম্বার ওয়ান।
কোন জিনিসটা আপনার অপছন্দ?
হঠাৎ বৃষ্টি।
আপনার শ্বশুর সাহেব কি করে?
উনি পদ্মা নদীর মাঝি।
আপনার স্ত্রী সম্পর্কে বলুন?
সেতো চাপা ডাঙ্গার বউ।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
গরীব কেন কাঁদে?
ভক্তদের উদ্দেশ্যে কোন উপদেশ থাকলে বলুন।
মানুষ মানুষের জন্য।

পর্যটক
মিসরের একটি পুরোন জিনিসের দোকানে এক পর্যটক ঢুকলেন। দোকানদার এগিয়ে এসে তাঁকে নানান জিনিস দেখাতে লাগল। সামনের একটি শো-কেসে একটি নর করোটি দেখতে পেয়ে পর্যটক জিঞ্জেস করলেন , “এই করোটি কার?” “এটি মহারানী ক্লিওপেট্রার,” সবিনয়ে জানালো দোকানদার । কিছুক্ষন বাদে ঘুরতে-ঘুরতে আর একটি খুলি চোখে পড়ল পর্যটকের। আগেরটির চেযে এই করোটি আকারে সামান্য ছোট। পর্যটক জিঞ্জেস করলেন , “এই করোটি কার?” দোকান দার বলল “এটি মহারানী ক্লিওপেট্রার হুজুর তবে এটা তাঁর ছোটবেলার করোটি।

অমুকের ছেলে ক্লাসে প্রথম হয়।
আমরা তোমার পেছনে ওর বাবা মা-র চেয়ে বেশি পরিশ্রম করি আর তোমাকে বেশি সুযোগ সুবিধাও দেয়া হয়।
সুতরাং তোমাকেও প্রথম হতে হবে।
বাবা মা সন্তানদের ওপর এভাবে ১০০ কেজি বস্তার বোঝা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না যে, পড়ালেখায় বুদ্ধির দরকার সবচেয়ে বেশি। আর এভাবে বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে উৎসাহিত করার চেয়ে আরও ভীতই করা হয়।

“ক” “খ”কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
“গ” “ক”কে হারিয়েছিল।
সুতরাং “গ”ও চ্যাম্পিয়ন।
এটা হলো মনকে স্বান্তনা দেয়ার জন্য খোঁড়া যুক্তি। এই যেমন, ২০-২০ ওয়ার্ল্ড কাপের পর অনেকেই নিজেদের মনকে স্বান্তনা দিতে এই যুক্তির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকেও চ্যাম্পিয়ন ঘোষনা করে অন্যের হাসির খোরাক হয়েছেন। তাদের মতে বাংলাদেশ কোনো একসময় ভারত-কে হারিয়েছিল। আজ যেহেতু ভারত চ্যাম্পিয়ন সুতরাং বাংলাদেশও নাকি চ্যাম্পিয়ন।

গরু ঘাস খায়।
মানুষ গরু খায়।
সুতরাং মানুষ ঘাস খায়।
এটা হল পাগলের যুক্তি বা যখন তর্কে আর জেতার সম্ভাবনা থাকে না তখন আমরা এরকম অদ্ভুত যুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকি।
উদাহরণঃ কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে গল্প করছিলাম। আমরা কয়েকজন একজোট হয়ে আরেক বন্ধুর সাথে তর্ক করছিলাম। সে বলে আমাদের ফ্যাকাল্টি নাকি আইবিএ থেকে পাশ করেছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে ফ্যাকাল্টি এন.এস.ইউ থেকেই পাশ করেছে। শেষ-এর দিকে আমরা যখন প্রায় জিতে গেছি তখন সে বলল, “ আমাদের ফ্যাকাল্টি নাকি ঐ কালো ব্যান্ডের মেয়েদের মত গান গাওয়া ছেলেটার কাছ থেকে ছ্যাঁকা খেয়েছে। আর যেহেতু সেই ছেলে আইবিএ-তে পড়েছে, সুতরাং আমাদের ফ্যাকাল্টিও আইবিএ-র স্টুডেন্ট।” এই কথা শুনে আমরা তর্ক থামিয়ে সজ়োরে হেসে উঠলাম।

এক লোক অনেক চাপাবাজি করে। তো সে সঙ্গীত নিয়েও চাপাবাজি করছে। সে এই সঙ্গীত লিখেছে সেই সঙ্গীতের সুর দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তো তার বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিষয়ে কি জানো?
জবাবে সে বললো, কত রবীন্দ্রসংঙ্গীত লিখলাম আর তুমি বলো কি জানি!?

এক জন বিরাট ধনী তার বাগান- বাড়ির পেছনের পুকুরে কুমির পুষতেন।একদিন তিনি তার বাড়িতে বিশাল এক পার্টি দিলেন।নানা জায়গা থেকে বহু লোক এলো সেই পার্টিতে।প্রচুর মদ্যপান আর খাওয়া দাওয়ার পরে পুরাকালের মহারাজদের স্টাইলে ধনী লোকটি ঘোষণা করলেন,যে সাহস করে কুমির ভর্তি পুকুরটি সাঁতরে পার হতে পারবে তাকে তিনি হয় এক কোটি টাকা দেবেন না হয় তিনি তার কাছে তার সুন্দরী কন্যাকে সমর্পণ করবেন।
কথাটি শেষ না হতেই ঝপাং করে একটি শব্দ।দেখা গেল এক জন লোক প্রান পণে সাতরাচ্ছে আর তার পিছনে তিনটা কুমির তাড়া করছে।সবাই পাড় থেকে লোকটা কে অজস্র উৎসাহ জুগিয়ে চলল।লোকটা আবশ্য ভালই সাঁতার কাটে তার উপর প্রাণের মায়া।কোন মতে হাঁপাতে হাঁপাতে অক্ষত অবস্থায় অন্য পাড়ে উঠলো।
ধনী লো্কটি এগিয়ে এসে লোকটির হাত ধরে বললেন,আমি বিশসাস করতে পারিনি এত সাহস দেখানোর মত ক্ষমতা কারও থাকতে পারে।
ইয়ং ম্যান তুমি কি চাও?আমার কন্যা, -না এক কোটি টাকা?
লোকটি তখনও হাঁপাচ্ছে।হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, আমি আপনার কন্যাকেও চাইনা,আপনার এক কোটি টাকাও পেতে চাই না।আমি শুধু সেই
ব্যাটাকে একবার হাতের কাছে পেতে চাই-যে ব্যাটা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল। 
 
 
 



 

No comments:

Post a Comment