একটু বৃষ্টি আবার একটু গরম, গ্রীষ্মের এই সময়ে গরমটা অতিরিক্তই বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। আর গরম বাড়ার সাথে সাথে একটি বিরক্তিকর জিনিসের উপদ্রবও বাড়তে থাকে। এই বিরক্তিকর উপদ্রবটি হচ্ছে মশা। অতিরিক্ত গরম লাগলেও এই মশার যন্ত্রণার কারণে মশারির ভেতরে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
মশার কয়েল, মশা মারার স্প্রে কোনো কিছু দিয়েই মশা দূর করা যায় না। আর যদি ঘরে মশার কয়েল বা স্প্রে শেষ হয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আপনার ঘুম হারাম হয়ে যাবে সে রাতের জন্য। কিন্তু খুব সহজেই এই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আগেকার যুগে মশার কয়েল বা স্প্রে না থাকলেও মশা কিন্তু ঠিকই ছিল। তখনকার মানুষ কি করতেন মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে? জানলে অবাক হবেন প্রকৃতিতেই রয়েছে এই মশার যন্ত্রণার সমাধান। আজকে শিখে নিন এমনই দুটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপায় যার মাধ্যমে ঘরকে রাখতে পারবেন একেবারেই মশা মুক্ত।
১) লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার
একটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকে এমনভাবে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।
২) কর্পূরের ব্যবহার
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোনো ফার্মেসীতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোটো বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুদিন পর পানি পরিবর্তন করুন। আগের পানিটুকু ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
খুব সহজেই এই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আগেকার যুগে মশার কয়েল বা স্প্রে না থাকলেও মশা কিন্তু ঠিকই ছিল। তখনকার মানুষ কি করতেন মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে? জানলে অবাক হবেন প্রকৃতিতেই রয়েছে এই মশার যন্ত্রণার সমাধান। আজকে শিখে নিন এমনই দুটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপায় যার মাধ্যমে ঘরকে রাখতে পারবেন একেবারেই মশা মুক্ত।
No comments:
Post a Comment